দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় আগামী বছর চালু হচ্ছে স্মার্ট ইআরসিসি

আগামী বছরের শুরুর দিকে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় আইসিটিভিত্তিক স্মার্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টারের (ইআরসিসি) কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোইকার (কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হবে।
গত ১৩ নভেম্বর কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর দো ইয়ং-আহের সঙ্গে পুরান ঢাকায় এফএসসিডি বাংলাদেশে কম্পাউন্ডে অবস্থিত প্রকল্পস্থল পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। ছবি: দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাস

আগামী বছরের শুরুর দিকে ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় আইসিটিভিত্তিক স্মার্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টারের (ইআরসিসি) কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোইকার (কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) মাধ্যমে এর কার্যক্রম শুরু হবে।

'স্ট্রেংথেনিং অ্যাবিলিটি অব ফায়ার ইমার্জেন্সি রেসপন্স (এসএএফইআর)' শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কোরিয়ান বিশেষজ্ঞ দলের অংশগ্রহণে চালু হয়েছিল। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৮.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, করোনা মহামারির কারণে প্রকল্পের অগ্রগতিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও বাংলাদেশে প্রথম স্মার্ট ইমার্জেন্সি রেসপন্স কন্ট্রোল সেন্টারের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।

গত ১৩ নভেম্বর কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর দো ইয়ং-আহের সঙ্গে পুরান ঢাকায় এফএসসিডি বাংলাদেশে কম্পাউন্ডে অবস্থিত প্রকল্পস্থল পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন।

এসময় কোরিয়ান প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টিম এবং এফএসসিডির কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদূতের কাছে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত লি এফএসসিডির মহাপরিচালক মো. মইনউদ্দিনের সঙ্গে ২০২৩ সালের শুরুতে ইআরসিসি উদ্বোধনের বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন।

প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পে ঢাকা ও এর আশেপাশের ২৮টি ফায়ার স্টেশন ইআরসিসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তারা সারা দেশের ৪৯০টি স্টেশনে এই ব্যবস্থা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন। উভয়পক্ষ প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তুষ্ট ও এই প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে।

উদ্বোধনের পর প্রকল্পটি বাংলাদেশের অগ্নি ও দুর্যোগ জরুরি প্রতিক্রিয়ার সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে আগুনের ঝুঁকি এবং মানব/অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments