শরীয়তপুরে মাছের ঘেরে নোনাপানির কুমির

পাজালকান্দির গাইমারা এলাকায় শিকল ও রশি দিয়ে কুমিরটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। ছবি: স্টার

শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মাছের ঘের থেকে একটি কুমির উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার আলাওলপুর ইউনিয়নের পাজালকান্দি এলাকার মাছের ঘের থেকে কুমিরটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি নোনা পানির কুমির। বর্তমানে পাজালকান্দির গাইমারা এলাকায় শিকল ও রশি দিয়ে সেটিকে বেঁধে রাখা হয়েছে। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটি এসে কুমিরটি নিয়ে যাবে।

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাফী বিন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'উদ্ধারকৃত কুমিরের ছবি ও ভিডিও আজ সকালে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সেগুলো দেখে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, এটা মূলত নোনাপানির কুমির।'

ইউএনও বলেন, 'ঢাকা থেকে অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল গোসাইরহাটে এসেছেন। এখন তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে এবং তদন্ত করে দেখবে- কীভাবে নোনাপানির কুমির মিঠাপানির মাছের খামারে এলো।'

ইতোমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারির নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক মো. সানাউল্লাহ পাটোয়ারি সাংবাদিকদের বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কুমিরটি এদিকে আসতে পারে। এ ছাড়া, ফ্রেশ ওয়াটারের স্তর কমে যাওয়া ও জোয়ারের সময় লবণাক্ত পানি প্রবেশ করায় এটি এদিকে আসতে পারে।'

উদ্ধারকৃত কুমিরটিকে প্রথমে খুলনার কয়রায় নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হবে। পরে সুন্দরবনের করমজল ব্রিডিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে মাছের ঘেরের শ্রমিক রাশেদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ১৫ দিন আগে খলিল কাজী ও শাখাওয়াত ঢালীর মাছের ঘেরে কুমিরের পায়ের ছাপ দেখি। যেহেতু সুন্দরবনে কাজ করতাম, তাই কুমিরের ছাপ চিনতে পেরেছি। পরে সামাদ কাজী ও আব্দুর রউফকে নিয়ে ফাঁদ পাতলে গতরাত ৯টার দিকে কুমিরটি এতে আটকা পরে। এরপর বিষয়টি প্রশাসনকে জানাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago