কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা মাছ সংগ্রহের হিড়িক

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেড় কিলোমিটার জায়গা মাছে সয়লাব হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট বলছেন সমুদ্র সৈকতে এভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ভেসে আসার ঘটনা আগে ঘটেনি।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভেসে আসা মাছ সংগ্রহে ব্যস্ত স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেড় কিলোমিটার জায়গা মাছে সয়লাব হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট বলছেন সমুদ্র সৈকতে এভাবে বিপুল পরিমাণ মাছ ভেসে আসার ঘটনা আগে ঘটেনি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে আসে বিভিন্ন প্রজাতির বিপুল পরিমাণ মাছ। মাছ ভেসে আসার খবরে সৈকতের আশপাশের এলাকার লোকজন ভেসে আসা মাছ সংগ্রহ করেন। কেউ কেউ এক মণের ও বেশি মাছ কুড়িয়ে সৈকতে স্তূপ করেন।

লাবণী পয়েন্টের লাইফগার্ড আবদুল গফুর বলেন, সাগরের তীরে এভাবে তাজা মাছ ভেসে আসার ঘটনা আমার জীবদ্দশায় ঘটেনি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলেছে মাছ কুড়ানোর কর্মযজ্ঞ। কিছু পর্যটকও দুএক কেজি করে সংগ্রহ করেছেন।

কলাতলীর দরিয়ানগর এলাকার ট্রলার মালিক নুরুল আবছার বলেন, অগভীর সাগরে অসংখ্য ট্রলার ঘেরাও জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য। তাদের জালে অস্বাভাবিক পরিমাণে মাছ ধরা পড়েছে। এত বেশি মাছ ধরা পড়েছে যে ট্রলারে করে আনাও সম্ভব হয়নি। মাঝি-মাল্লারা অতিরিক্ত মাছ সাগরে ফেলে দেন। ফেলে দেওয়া মাছগুলো সৈকতে ভেসে এসেছে। পোপা, লইট্টা, ফাসিয়া, ছুরি, ঠোঁটঢালি ও চামিলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়েছে। এতো বিপুল মাছ ধরা পড়ার ঘটনা আর ঘটেনি।

কক্সবাজার সৈকতে মাছ সংগ্রহ করছেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: সংগৃহীত

সৈকতের পাশের এলাকা বাহারছড়া গ্রামের রাশেদুল হক জানান, তিনি প্রায় এক মণ পোপা মাছ সংগ্রহ করেছেন। মাছগুলো রোদে শুকিয়ে শুটকি করবেন তিনি।

কলাতলী আদর্শ গ্রামের রোকেয়া খাতুন জানান, তিনি ২০ কেজির মতো মাছ সংগ্রহ করেছেন। মাছগুলো তিনি বাজারে বিক্রি করবেন।

বাহারছড়া বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, কক্সবাজার সৈকত থেকে সংগ্রহ করা মাছে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে দামও কমে গেছে। যে পোপা মাছ অন্যদিন প্রতি কেজি ৪০০ টাকায় বিক্রি হতো সেই একই মাছ আজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকায়। অধিকাংশ মাছ নাজিরারটেক শুটকি মহালের ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে গেছেন। সৈকতে ছোট মাছ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে।

কক্সবাজার জনতা সড়কের বাসিন্দা মোহাম্মদ শাহনিয়াজ বলেন, কক্সবাজার জেলা শহরের সবচেয়ে বড় বাজারের মাছ বাজার আজ সামুদ্রিক মাছে পরিপূর্ণ ছিল।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে তা হলো বঙ্গোপসাগরের শৈবাল পয়েন্টে মাছ ভর্তি একটি ট্রলার ডুবে গেছে। সেই ট্রলারে থাকা মাছগুলো ভেসে এসেছে। এ ছাড়া অতিমাত্রায় মাছ ধরা পড়েছে। ওই মাছ সৈকতে ভেসে এসেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago