ঠাকুরগাঁওয়ে পালিত হচ্ছে হানাদার মুক্ত দিবস
১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত হয় উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। যথাযথ মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনায় বিভিন্ন আয়োজনের ভেতর দিয়ে জেলায় দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
দিবসটি উদযাপনে আজ শনিবার সকালে ঠাকুরগাঁও শহরের কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।
পথে ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
পরে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
এর আগে দিবসের প্রারম্ভে রাত ১২ টা ১ মিনিটে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর ব্যানারে পৌরসভা এলাকার টাঙ্গন নদীর তীরে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মোমবাতি প্রজ্বলন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা আসার পর ঠাকুরগাঁও শহরে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে ২৭ ও ২৮ মার্চে শহীদ মোহাম্মদ আলী এবং নরেশ চৌহানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ।
এছাড়া আজ বিকেলে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী।
ঠাকুরগাঁওয়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ভাষ্য অনুসারে, ১৯৭১ সালের ১ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়।
মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়ে দখলদার বাহিনী ২ ডিসেম্বর সকাল থেকে শহর ত্যাগ করতে শুরু করে। ওই রাতেই তারা শহর ছেড়ে সৈয়দপুর সেনানিবাসে আশ্রয় নেয়।
পরদিন ৩ ডিসেম্বর ভোরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে 'জয় বাংলা' স্লোগান মুখে শহরের রাজপথে নেমে আসে সর্বস্তরের মানুষ।
Comments