ল্যানসেটের স্বীকৃতি পেলেন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা

সেঁজুতি সাহা। ছবি: সংগৃহীত

বিখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটের স্বীকৃতি পেয়েছেন বাংলাদেশের অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। ল্যানসেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞানীদের প্রোফাইলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে তার প্রোফাইলও।

এই প্রথম কোনো বাংলাদেশিকে ল্যানসেট ওয়েবসাইটে দেখা গেল।

সেঁজুতির প্রোফাইল প্রকাশ করে ল্যানসেট করোনাভাইরাস প্যাথোজেন এবং চিকুনগুনিয়ার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে তার ভূমিকা বর্ণনা করেছে।

সেঁজুতি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (সিএইচআরএফ) পরিচালক। ল্যানসেট যখন তার প্রোফাইল তৈরি করার জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল তখন তিনি প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি প্রথমে ভেবেছিলাম কেউ মনে হয় প্রতারণা করতে আমাকে ফোন দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চাচ্ছে। কিন্তু পরে দেখলাম এটা সত্যি! এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেল যে বিশ্ব আমাদের কাজ দেখে।'

কীভাবে থাইরয়েড ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই সেঁজুতিকে বাংলাদেশে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করেছে তা তুলে ধরেছে ল্যানসেট। তার দৃঢ় সংকল্পের উদাহরণ হিসেবে ২০১৮ সালে সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য অনুদান ও মেশিন পাওয়ার কথাও উল্লেখ করে সাময়িকীটি।

সেঁজুতির উদ্ধৃতিতে ল্যানসেটে উল্লেখ করা হয়, 'আমি বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছিলাম, বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকেই সিকোয়েন্স করা যায়। এই কাজের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যে নমুনা পাঠানোর দরকার নেই। আপনি যেখানেই থাকুন না কেন সেখানেই সিকোয়েন্স করতে পারেন। বাংলাদেশে ছোট সিকোয়েন্সিং মেশিন ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সেটি করে দেখিয়েছি।'

ওয়েবসাইটে আরও উল্লেখ করা হয়, সেঁজুতি এবং তার নেতৃত্বে কাজ করা জিনোমিক্স দল ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ বাংলাদেশের শিশুদের আক্রমণ করে এমন ভাইরাস সিকোয়েন্স ও গবেষণা করেন।  

Comments

The Daily Star  | English

Stuck in red, shipbreaking slow to turn green

Bangladesh began the green transition in 2017, when PHP Ship Recycling Yard became the first entity in the country to receive international green certification.

14h ago