'বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ'
কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা 'ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট' অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
এর আগে আইএমএফ প্রকাশ করেছিল যে বাংলাদেশ ও ভারত একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার দুটি দেশ, যা ৫০টি বৃহৎ অর্থনীতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আইএমএফ পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর 'দ্য টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
এটি মোট দেশীয় পণ্যের (জিডিপি) পরিপ্রেক্ষিতে দেশগুলোকে তালিকাভুক্ত করেছে।
অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এই পর্যায়ে পৌঁছেছে তার সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং বিগত ১২/১৩ বছরে ৬ প্লাস জিডিপি প্রবৃদ্ধির কারণে।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কানাডার প্রকাশনা বাংলাদেশ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীনও দেশের অব্যাহত প্রবৃদ্ধি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ড. আতিউর বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ২৮তম বৃহত্তম এবং ২০২৫ সালের মধ্যে এর অর্থনৈতিক পরিমাণ হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, দেশকে এখন দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, সুশাসন এবং স্থিতিশীল সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ গত ১৩ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার মোট বাজেটের প্রায় ১২ শতাংশ ব্যয় করেছে। যা পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, র্যাপিড ম্যাস ট্রানজিট, কর্ণফুলী টানেল এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নসহ মেগা প্রকল্পে অবদান রেখেছে।'
ফলে শহর ও গ্রামাঞ্চলে একটি অর্থনৈতিক বুম ঘটছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেশি দেশ ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে পঞ্চম স্থানে চলে গেছে। এর আগে এটি ষষ্ঠ অবস্থানে ছিল।
২০২২ সালে ৩ দশমিক ৪৬ ট্রিলিয়ন জিডিপি নিয়ে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে পঞ্চম স্থান দখল করেছে ভারত।
তালিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান ও জার্মানি। বিশ্বের ১০টি বৃহত্তম অর্থনীতির বাকি পাঁচটি দেশ হল- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, রাশিয়া ও ইতালি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে বিশ্বে দুটি বড় ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমত, বিশ্বের জনসংখ্যা ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
দ্বিতীয়ত, বিশ্ব অর্থনীতির আকার ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ১০১ দশমিক ৫৬ ট্রিলিয়ন ডলার হয়েছে।
Comments