যশোরে ‘অতিরিক্ত মদপানে’ ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২
যশোরে 'অতিরিক্ত মদ' পান করে ৩ জন মারা গেছেন। একই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন আরও ২ জন।
যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামে গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হয়।
মারা যাওয়া ৩ জন হলেন— যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে জাকির হোসেন (২৮), মৃত আবদুল হামিদের ছেলে ইসলাম মিয়া (৪২) ও আবু বক্কর মোল্লার ছেলে আবুল কাশেম (৫৮)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ জন হলেন— সিতারামপুর গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল (৩৫) ও মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৬)।
যশোর জেনারেল হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের একটি লিচু বাগানে ওই ৫ জন 'অতিরিক্ত মদ' পান করেন। এরপর রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে নিজ নিজ বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেন। কিন্তু অবস্থায় অবনতি হলে প্রথমে ইসলামকে গতকাল ভোরে তথ্য গোপন করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে তিনি মারা যান। পরে পরিবারের সদস্যরা ছাড়পত্র ছাড়াই দ্রুত মরদেহ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বাকি ৪ জন বাড়িতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল দুপুরে তাদেরও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাদের মধ্যে জাকির হোসেন বিকেলে মারা গেলে মদপানের বিষয়টি প্রকাশ পায়। ঘটনা জানাজানি হলে হাসপাতালে ভর্তি বাবলু ও রিপন হোসেন সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে বেসরকারি একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন। আর যশোর হাসপাতালেই গতকাল রাতে মারা যান কাশেম।
যশোর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে রোগীদের মুখের গন্ধে বোঝা যাচ্ছিল যে, অতিরিক্ত মদপানের ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।'
যশোর কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক মহিউদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত মদপান করেছিলেন। কিন্তু স্বজনরা সেই তথ্য গোপন করে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা মৃতদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।'
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অতিরিক্ত মদপানে তাদের মৃত্যু ও অসুস্থ হওয়ার খবর আমরা পেয়েছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা অন্য কেউ আমাদের কাছে এখনো কোনো অভিযোগ করেনি। খবর পাওয়ার পর বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।'
Comments