বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা

hajj
ফাইল ছবি

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে এ বছর সর্বনিম্ন খরচ হবে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর বাইরে প্রত্যেক হাজিকে কোরবানি বাবদ নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করেন।

হাব সভাপতি বলেন, 'ঘোষিত প্যাকেজের হজযাত্রীদের পবিত্র হারাম শরিফের বাইরের চত্বরের সীমানার সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ মিটার দূরত্বে আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সর্বনিম্ন হজ প্যাকেজের বাইরে এ ছাড়া প্রত্যেক এজেন্সি হজযাত্রীদের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন রেটের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারবে।'

গত বছর বেসরকারিভাবে এজেন্সিগুলোর 'সাধারণ প্যাকেজ'র মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয়েছিল ৫ লাখ ২২ হাজার ৭৪৪ টাকা। এবার তা প্রায় দেড় লাখ টাকা বাড়ানো হলো।

এবার বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের সুযোগ পাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন যেতে পারবেন হজে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুলাই সৌদি আরবে হজ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ৬৫ বা এর বেশি বয়সীরাও হজে যেতে পারবেন।

হাব সভাপতি বলেন, 'কোনো এয়ারলাইনস এ বছর ডেডিকেটেড ফ্লাইট ছাড়া সিডিউল ফ্লাইটে কোনো হজযাত্রী বহন করতে পারবে না। প্যাকেজ ঘোষণার পর সৌদি সরকার অতিরিক্ত কোনো ফি আরোপ করলে তা প্যাকেজের মূল্য হিসেবে গণ্য হবে এবং হজযাত্রীকে পরিশোধ করতে হবে।'

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজযাত্রীদের নিবন্ধন শুরু হবে জানিয়ে হাব সভাপতি বলেন, 'হজযাত্রীদের হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ শুধু সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা সরাসরি এজেন্সিতে জমা দিয়ে মানি রিসিট সংরক্ষণ করবেন। কোনোক্রমেই মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের কাছে কোনো প্রকার লেনদেন করবেন না। হজযাত্রীরা হজ প্যাকেজের পুরো অর্থ আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে অবশ্যই নিজ নিজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাবে জমা করে বা এজেন্সির অফিসে জমা দিয়ে মানি রিসিট গ্রহণ করবেন। হজযাত্রীদের পাসপোর্টের মেয়াদ আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকতে হবে।'

প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা, মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিষেধক টিকার সনদ লাগবে বলেও জানান শাহাদাত হোসাইন তসলিম।

এর আগে গতকাল সরকারি ব্যাবস্থাপনায় হজ পালনের ক্ষেত্রে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকার হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞায় ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে কেউ হজ পালন করতে পারেননি। ২০২১ সালেও বিদেশিদের জন্য হজ পালনে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

করোনা মহামারি কমে এলে ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ৬০ হাজার মুসলমান হজ পালন করেন। করোনা মহামারির কারণে গত বছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজ পালনের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

59m ago