বিমানের গুরুত্বপূর্ণ ২ পদে পরিবর্তন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২টি প্রধান পদে পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে যাত্রীরা উপকৃত করবে এবং জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে বলে জানা যায় অভ্যন্তরীণ সূত্রে।
বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ‘বিমানের গ্রাউন্ড সাপোর্ট কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের’ কারণে এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ছবি: বিমানের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২টি প্রধান পদে পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে যাত্রীরা উপকৃত করবে এবং জাতীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠানটি আরও দক্ষ হয়ে উঠবে বলে জানা যায় অভ্যন্তরীণ সূত্রে।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বলেন, 'পরিকল্পনা ও তফসিল বিভাগের প্রধান পদে ক্যাপ্টেন এস হোসেনের স্থলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ক্যাপ্টেন ইশতিয়াক আহমেদকে।'

বিমানের বেশ কয়েকজন পাইলট গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ক্যাপ্টেন এস হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ককপিট ক্রুদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিমানের ১৫ জন নারী ককপিট ক্রু সদস্যের মধ্যে ৯ জনই অভিযোগ করেছিলেন। তারা দাবি করেন, শিডিউলিং বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের প্রতি বৈষম্য ও হয়রানি করছে।

তারা বলেন, ইচ্ছাকৃত বৈষম্য, হয়রানি, নিয়মিত গালিগালাজ, পদোন্নতি ও প্রশিক্ষণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে কাজের পরিবেশ প্রতিকূল হয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় ফ্লাইট সেফটি কর্মকর্তা, অন্যান্য কর্মকর্তা এবং বিমানের প্রধানের কাছে জমা দেওয়া 'নারী ককপিট ক্রু হয়রানির গোপনীয় প্রতিবেদনে' বলা হয়েছে, এর ফলে নারী সদস্যরা প্রচণ্ড চাপে পরেন এবং অনেকে বিমান ছেড়েও দেন।

প্রতিবেদনে তারা প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের নামও উল্লেখ করেছেন।

এই ২ কর্মকর্তাই এখনো বিমানে কর্মরত আছেন।

দ্য ডেইলি স্টারকে ক্যাপ্টেন এস হোসেন বলেন, 'আমি এসব ঘটনায় জড়িত নই।'

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদকে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বিমানের তথ্য অনুযায়ী, সংস্থাটিতে ৫ জন নারী ক্যাপ্টেন এবং ১০ জন নারী ফার্স্ট অফিসার রয়েছেন।

এ ছাড়া, বিমানের কারিগরি বিভাগের প্রধানের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য ছিল। এই পদে ক্যাপ্টেন তানভীর খুরশিদকে নিয়োগ দিয়েছে বিমান।

Comments