‘একদিনের বিশেষ’ সুযোগেও হজ কোটা পূরণ হয়নি

কাবা ঘরের ছবি। ১ জুলাই ২০২২। ছবি: রয়টার্স

নিবন্ধনের জন্য 'একদিনের বিশেষ' সুযোগ দেওয়ার পরও চলতি বছরের ১ লাখ ২৭ হাজারের হজ কোটা এখনো পূরণ হয়নি।

৮ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার ৮ বার হজ নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়িয়েছে।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) অনুরোধে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য 'একদিনের বিশেষ' সুযোগ দেয়।

আশকোনা হজ ক্যাম্পের হজ অফিস সূত্রে জানা যায়, এই সুযোগ নিয়েছেন মোট ৭৯৬ জন। তাদের মধ্যে ৩৯ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৭৫৭ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।

বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী এ বছর মোট ১ লাখ ২৭ হাজার বাংলাদেশি হজ করার সুযোগ পাবেন।

এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১২ হাজার মানুষ হজ পালন করবেন।

হজ অফিস সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার একদিনের বিশেষ সুযোগ দেওয়ার পরও হজের জন্য মোট নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জন। অর্থাৎ এখনো ৬ হাজার ৫০৯টি হজ কোটা পূরণ হয়নি।

নিবন্ধন সম্পন্ন করা মোট ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯১ জনের মধ্যে ১০ হাজার ৭৪ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ১ লাখ ১০ হাজার ৪১৭ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।

হাব ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশের (এটিএবি) নেতারা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন যে এ বছর কয়েক হাজার হজ কোটা অপূর্ণ থাকবে।

হাব ও এটিএবি নেতারা বলছেন, হজের মোট কোটা পূরণ না হলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এ ছাড়া, হজ কোটা পূরণ না হলে এর নেতিবাচক প্রভাব পরবে এবং সৌদি সরকার আগামী বছর হজ কোটা কমিয়ে দিতে পারে।

হাব ও এটিএবি নেতাদের মতে, হজ পালনে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও এ বছর হজ প্যাকেজের উচ্চমূল্যের কারণে হজ নিবন্ধন সম্পন্ন করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না মানুষ।

এ বছর একজন বাংলাদেশিকে বেসরকারি ও সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে প্রায় ৭ লাখ টাকা খরচ করতে হবে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা বেশি।

এ ছাড়া, সৌদি আরবের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে কুরবানি সম্পন্ন করতে প্রত্যেক হজযাত্রীকে প্রায় ২২ হাজার টাকা খরচ করতে হবে।

হাব ও এটিএবি নেতারা জানান, একজন বাংলাদেশি হজযাত্রীকে এ বছর হজের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে সবমিলিয়ে গড়ে প্রায় ৮ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। এ বছরের উড়োজাহাজ ভাড়া অনেক বেশি থাকায় হজ প্যাকেজের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত বছর বিমানের ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু এ বছর তা প্রায় ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। এটা অনেক বেশি।'

হাব ও এটিএবি সূত্র জানায়, ভারতে উড়োজাহাজ ভাড়া প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং পাকিস্তানে ১ লাখ টাকার কম।

এটিএবি মহাসচিব আবদুস সালাম আরিফ বলেন, 'আগে মানুষ নিবন্ধন করতে এজেন্সি খুঁজে বের করতো। আর এ বছর আমরা হাজিদের খুঁজছি।'

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। আগামী ২১ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago