ঘূর্ণিঝড় মোখা: লঞ্চযাত্রী কমেছে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে

ঘূর্ণিঝড় মোখা: লঞ্চযাত্রী কমেছে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে
চাঁদপুর লঞ্চঘাট। ছবি: আলম পলাশ

ঘূর্ণিঝড় মোখার পূর্বাভাসে লঞ্চযাত্রী কমে গেছে চাঁদপুরে। এর ফলে প্রতিটি লঞ্চই নির্দিষ্ট আসনের চেয়ে অনেক কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়ছে। 

আজ শুক্রবার সকালে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে গিয়ে এমন অবস্থা দেখা গেছে।

সকালে চাঁদপুর থেকে ঢাকামুখী সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী লঞ্চ ইগল-৩ লঞ্চটিতে গিয়ে দেখা গেছে যাত্রী সংখ্যা ছিল একেবারেই কম।

লঞ্চের ঘাট সুপারভাইজার আলী আজগর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, প্রতিদিন লঞ্চে যে পরিমাণ যাত্রী নিয়ে ঘাট ত্যাগ করে, আজ শুক্রবার যাত্রী সংখ্যা ছিল তার চেয়ে অনেক কম।' 

ভোর ৬টায় ছেড়ে যাওয়া রফরফ, সোনার তরীসহ অন্যান্য লঞ্চগুলোতে যাত্রী সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোখা: লঞ্চযাত্রী কমেছে চাঁদপুর-ঢাকা রুটে
চাঁদপুরের লঞ্চ ঘাট। ছবি: সংগৃহীত

ঈগলের ঢাকাগামী লঞ্চের নিয়মিত যাত্রী সেলিম আকবর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়টি যেনেও তিনি বোনকে নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। এতে তিনি ভয়ের কিছু দেখছেন না। তার কারণ ঈগল লঞ্চটিকে নিরাপদ বলে মনে করেন তিনি।

বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরির্দশক আব্দুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, চাঁদপুরে মোখার প্রভাবে নৌ বন্দরে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত রয়েছে। এতে লঞ্চের যাত্রী কিছুটা কমেছে। এ ছাড়া আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় চাঁদপুরের নদী উপকূলীয় এলাকায় সর্বসাধারণকে সতর্ক করতে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চাঁদপুর উত্তর স্টেশনের পক্ষ থেকে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গাড়িতে করে মাইকিং করা হচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ কমিটির সদস্যদের নিয়ে ভার্চুয়ালি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English

Türk concerned over changes in Bangladesh's legislation banning activities of parties

"This [the changes in legislation] unduly restricts the freedoms of association, expression, and assembly," says the UN high commissioner for human rights

6m ago