‘বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুতে বিনিয়োগে আগ্রহী মার্কিন প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকস্টোন’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সৌর বিদ্যুতের মতো নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎসের দিকে ঝুঁকছে। এর মধ্যে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে তেল-গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ব্ল্যাকস্টোনের আগ্রহের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।

পিটার হাস জানিয়েছেন, তিনি তার সর্বশেষ ওয়াশিংটন সফরের সময় ব্ল্যাকস্টোন পোর্টফলিও কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। তারা এসময় বাংলাদেশে সৌরবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানান।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওয়াশিংটন ভিত্তিক ন্যাশনাল ব্যুরো অব এশিয়ান রিসার্চ এবং বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তৃতায় এসব কথা জানান পিটার হাস।

তিনি বলেন, এক প্রজন্ম আগেও বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের কাজ পেতে আমেরিকার তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো তীব্র প্রতিযোগিতায় লিপ্ত ছিল। ঠিক একইভাবে এখন বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের সুযোগ খুঁজছে ব্ল্যাকস্টোন।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ আরও বেশি মার্কিন বেসরকারি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায়, তাই ব্ল্যাকস্টোনের বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশের যথাসাধ্য চেষ্টা করা উচিত।

'এক ট্রিলিয়ন ডলারের একটি কোম্পানি বাংলাদেশে সফল হতে পারলে, ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা কল্পনা করুন৷ উল্টোভাবে, তারা হতাশ হলে তাদের বিনিয়োগ অন্য জায়গায় চলে যাবে।'

পিটার হাস বলেন, বিশ্বে একসময় জীবাশ্ম জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে। গত বছর ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর জ্বালানি নিয়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্ব ধাক্কা খেয়েছে। এই অবস্থায় সব দেশকেই তাদের জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য পরিকল্পনা করতে হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাংলাদেশের জন্য, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এবং বিশ্বের জন্য চাবিকাঠি। সৌরবিদ্যুৎ, বায়ুবিদ্যুৎ, জিওথার্মাল বিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ এবং অন্যান্য বিকল্প শক্তির উৎস কাজে লাগানোর মধ্যেই জ্বালানি নিরাপত্তা নিহিত।

Comments

The Daily Star  | English

No scope to avoid fundamental reforms: Yunus

Conveys optimism commission will be able to formulate July charter within expected timeframe

4h ago