দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশে বর্তমানে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। আজ সোমবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, 'গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী বোরো ২০১ দশমিক ৮৬ লাখ মেট্রিক টন, আউশ ৩০ দশমিক ০১ লাখ মেট্রিক টন ও ১৪৯ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন আমন উৎপাদিত হয়েছে। মোট ৩৮১ দশমিক ৪৫ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ১০ দশমিক ৮৬ লাখ মেট্রিক টন গমসহ সর্বমোট ৩৯২ দশমিক ১৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে।'

মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদন ২০২২ অনুযায়ী মানুষের দৈনিক গড় খাদ্যশস্য গ্রহণের পরিমাণ ৩৫১ দশমিক ৮ গ্রাম। এর মধ্যে চাল ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম ও গম ২২ দশমিক ৯ গ্রাম। এ হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬৯ দশমিক ৮২ মিলিয়ন হলে মোট খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয় ২১৭ দশমিক ৫৮ লাখ মেট্রিক টন, চাল ২০৩ দশমিক ৯৪ লাখ মেট্রিক টন এবং গম ১৩ দশমিক ৬৪ লাখ মেট্রিক টন। যা ২০২১-২২ অর্থবছরের খাদ্যশস্যের মোট উৎপাদনের চেয়ে কম।'

তিনি বলেন, 'দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২২ বিবেচনায় ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারিতে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৭১ দশমিক ৯০ মিলিয়ন। সে হিসাবে দেশে খাদ্যশস্যের মোট চাহিদা হবে ২২০ দশমিক ৭৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পূর্ববর্তী ধারা যদি বজায় থাকে তবুও দেশে খাদ্য ঘাটতির কোন আশঙ্কা নাই।'

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, '২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ জুন পর্যন্ত সরকারিভাবে ৬ দশমিক ৩৪ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৬ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন গম অর্থাৎ ১৩ দশমিক ১৪ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি হয়েছে। বেসরকারিভাবে ৪ দশমিক ২২ লাখ টন চাল এবং ২৭ দশমিক ২৪ লাখ মেট্রিক টন গম অর্থাৎ মোট ৩১ দশমিক ৪৬ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হয়েছে।'

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী,  বর্তমানে ৪ জুন পর্যন্ত সরকারি খাদ্যশস্য মজুদ আছে ১৭ দশমিক ৪৪ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১৩ দশমিক ৮৩ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ দশমিক ৬১ লাখ মেট্রিক টন গম।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago