ভোট ডাকাতির কথা স্বীকার করা সেই ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ

উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েস চৌধুরীছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে 'ভোট ডাকাতির' কথা স্বীকার করে বক্তব্য দেওয়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

গত ৬ জুন উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস এক বক্তব্যে বলেন, ২০১৯ সালে তিনি নিজে ৮টি কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি করে কক্সবাজার সদর উপজেলার চেয়ারম্যান কায়সারুল হক ওরফে জুয়েলকে বিজয়ী করেছিলেন। এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

কক্সবাজার পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহাবুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে তারাবুনিয়াছড়া এলাকায় দেওয়া ভাষণে ভোট ডাকাতি নিয়ে বক্তব্য দেন ইমরুল কায়েস। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'তুমি যদি আমার বক্তব্য শুনে থাকো বিগত নির্বাচনে তোমার জন্য কক্সবাজারে ৮টি কেন্দ্রে আমি ভোট ডাকাতি করেছি, নৌকার পক্ষে গিয়ে। আমি ইমরুল কায়েস যদি না থাকতাম, তুমি উপজেলা চেয়ারম্যান হতে পারতে না।'

ইমরুল কায়েস আরও বলেন, 'জুয়েল তোমার যদি মনে না থাকে, আমার শ্রদ্ধাভাজন মাসেদুল হক রাশেদ, যিনি এখন নারকেলগাছ মার্কায় ভোট করছেন, উনার কাছে জিজ্ঞেস করে দেখ। তোমার যদি মনে না থাকে, তোমার মেজ ভাই জেলা পরিষদের মার্শাল মামা আছে, তাকে জিজ্ঞেস করে দেখ ইভিএমের মধ্যে তোমার জন্য ভোট ডাকাতি করে কারচুপি করে তোমাকে এই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছি। আর তুমি কথায় কথায় আমাকে টার্গেট করো, আমাদের টার্গেট করো। কারণ তুমি একজন অকৃতজ্ঞ। তুমি যদি কৃতজ্ঞ হতে, সেদিনের কথা তুমি ভুলে যেতে না।'

এই বক্তব্যের ব্যাপারে ইমরুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরানের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
enforced disappearance in Bangladesh

Enforced disappearance: Anti-terror law abused most to frame victims

The fallen Sheikh Hasina government abused the Anti-Terrorism Act, 2009 the most to prosecute victims of enforced disappearance, found the commission investigating enforced disappearances.

8h ago