বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধুর নামে করতে চাই: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

মেলায় ৫০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।
‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা’য় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। ছবি: স্টার

বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

আজ শনিবার সরকারের আইসিটি ডিভিশনের আয়োজনে বগুড়ার টিটু মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত 'স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা'য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই দাবি জানান তিনি।

এই মেলায় মোট ৩৩টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৫ হাজার চাকরির সুযোগ নিয়ে অংশ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৩ হাজার চাকরিপ্রার্থী অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছে। প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, আজ দুপুর ১টার মধ্যে ২৩ জনের চাকরি নিশ্চিত হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি বলেন, 'আমরা আজ বগুড়ার ৪০ লাখ মানুষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাতে চাই যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম আমরা এই বগুড়ার   বিশ্ববিদ্যালয়টির নামকরণ করতে চাই।'

তিনি বলেন, 'বগুড়ায় কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না। গত ৫২ বছরে স্বাধীনতার পর থেকে অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু কেউই বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা ভাবেনি। ১৯৯৯ সালে শেখ হাসিনা বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে সেটা আইনের প্রস্তাব আসে, কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে ২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টা স্থাপন করেনি। সম্প্রতি বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য সকল কাজ সম্পন্ন হয়েছে।'

মেলায় প্রতিমন্ত্রীর কাছে নানান প্রশ্ন করেন নতুন উদ্যোক্তারা। এর মধ্যে আর্থিক ঋণ, তথ্য-প্রযুক্তিতে উচ্চতরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, প্রযুক্তির প্রশিক্ষণে অসমতা দূরীকরণ, শিক্ষিত তরুণ-তরুণীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, ই-কমার্স ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তাদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিদেশ থেকে টাকা আনতে গেটওয়ে হিসেবে বাংলাদেশ পেপাল সার্ভিস চালুসহ নানা বিষয় রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তর দিলেও বাংলাদেশে কবে থেকে পেপাল পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করতে পারে, সে সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি।

তবে তিনি জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং, সফটওয়্যার-হার্ডওয়্যার রপ্তানি মিলিয়ে ৫ বিলিয়ন ডলার আয় এবং আরও ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায় সরকার।

অনুষ্ঠানে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে কীভাবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে সে বিষয়ে একটি ভিডিও চিত্র দেখানো হয়।

মেলায় ৫০ জন নারী উদ্যোক্তাকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, সরকার বগুড়ায় একটি হাইটেক-পার্ক করতে চায় বলে জানান প্রতিমন্ত্রী পলক।

তিনি বলেন, 'এই প্রোগ্রাম শেষে একটা জায়গা দেখতে যাবো। সেখানে সাড়ে ৪০০ একর জায়গা আছে। আমাদের স্বপ্ন, ওখানে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট ক্যাম্পাস নির্মাণ করা; ১৪ একর জমিতে শেখ কামাল আইটি ইনকিবেশন সেন্টারের আধুনিক কর্মসংস্থানের ঠিকানা তৈরি করা; বাকি ২০০-২৫০ একরের মধ্যে ১০০ একর জমতে বিসিক-২ নামের একটি শিল্প নগরী তৈরি করা এবং আরও ১০০ একর জায়গায় স্মার্টফোন, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরির জন্য হাইটেক-পার্ক, নলেজ পার্ক প্রতিষ্ঠা করা। এখানে লাখো ছেলে-মেয়ের কর্মসংস্থান হবে। বগুড়া একটি স্মার্ট শহর হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিতি লাভ করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago