সুদান থেকে আরও বাংলাদেশি ফিরছেন

‘আশা করি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।’
ফাইল ফটো। ছবি: ইউএনবি থেকে নেওয়া

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, সরকারের উদ্ধার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে আরও ১০০ বা তার বেশি বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরে আসবেন।

মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, প্রথম ধাপে সুদানে আটকে থাকা ৮০ জন বাংলাদেশিকে ৩০ জুন সুদানের বদর এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে দোহায় নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ এই মুহূর্তে সুদান থেকে জেদ্দা যাওয়ার কোনো ফ্লাইট নেই।

পরে তারা ১ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন বলেও জানান তিনি।

পোস্টটিতে বলা হয়, বাকি 'নিবন্ধিত'—অর্থাৎ যারা দেশে ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায়ে নিবন্ধন করেছেন তারা ২ জুলাই বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরতে পারবেন।

নতুন করে উদ্ধার প্রচেষ্টার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা উদ্ধার অভিযান শুরু করার সময়ই কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তন করে একমাসের বেশি সময় আগে নতুন কেউ আগ্রহী না থাকার কারণে তা বন্ধ ঘোষণা করি। কিন্তু আমাদের উদ্ধার ক্যাম্প বন্ধ করার পর পোর্ট সুদানে অনেক বাংলাদেশি জড়ো হতে শুরু করে।

খার্তুমের পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যে সংখ্যাটি ১০০ ছাড়িয়েছে। তাদের থাকার উপযুক্ত জায়গা না থাকায় তারা অনেক কষ্টের মুখোমুখি হয়েছেন।

খোলা আকাশের নিচে লোহিত সাগরের তীরে তাদের রাত কাটে। আমরা তাদের ব্যবহারের জন্য শুধুমাত্র ফ্লোর ম্যাট এবং কিছু জলের ট্যাঙ্ক সরবরাহ করতে পেরেছিলাম গত কয়েকদিনে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমরা চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছি।

আমাদের কনসুলেট মন্ত্রণালয়কে বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করেন এবং আমরা তাদের প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুমোদন দিই। এখন জেদ্দার কোনো ফ্লাইট না থাকায় বদর এয়ারলাইনসে দোহা যাওয়ার নতুন রুট খুলেছে।

আমরা আবার উদ্ধার ক্যাম্প খুলে রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছি। গত পরশু পর্যন্ত ১০৪ জন নাগরিক তাদের ফিরে যাওয়ার অভিপ্রায় নিবন্ধন করেছেন। আমরা নিবন্ধনের শেষ তারিখ হিসাবে ২৭ জুন ঘোষণা করেছি। আমরা আশা করছি যে ১৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নিবন্ধন করবেন।

যদি আমাদের ১৬০ জনের বেশি যাত্রী থাকে, তারা ২ জুলাই ফ্লাইট নেবেন।

আশা করি এই পরিবারগুলোর জন্য ঈদের আগে এই সংবাদ কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।'

Comments