পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি

খাগড়াছড়িতে আ. লীগ-বিএনপির দফায় দফায় সংঘর্ষ: আহত ২০০

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর ও আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। ছবি: সংগৃহীত

 

খাগড়াছড়িতে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দুই শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ১০টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে।

সর্বশেষ মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদন লেখার সময় খাগড়াছড়ি শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। যানবাহন চলাচল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

তবে এ বিষয়ে পুলিশ এখনো কোনো তথ্য দেয়নি।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘিরে শহরের শাপলা চত্বর ও আশপাশ এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এক ঘণ্টারও বেশি সময় দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএন আবছার বলেন, 'কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পদযাত্রা শুরু করেছিলাম। প্রথম দফায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে সামনে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর দফায় দফায় আমাদের ওপর হামলা করেছে।'

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, 'পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছে। তারা যদি মধ্যস্থতা অবলম্বন করতো তাহলে আমাদের ওপর তাক করে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করত না।'

সংঘর্ষে প্রায় ১৭০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি। অনেককে আটক করা হয়েছে অভিযোগ তুলে এই বিএনপি নেতা বলেন, 'আমাদের কাছে এখনো তথ্য নাই মোট কতজনকে পুলিশ আটক করেছে।'

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পৌরসভা মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, 'উন্নয়ন শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আসার পথে বিএনপির ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।'

সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের কতজন আহত হয়েছেন এ বিষয়ে জানা যায়নি।

এর আগে দুপুরের দিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক নুরুল আজম, মো. আলমাছ, ক্যজরী মারমাসহ ২৫-৩০ জন আহত হয়ে থাকতে পারেন।

আজ সন্ধ্যায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।  

ঘটনা সম্পর্কে জানতে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক ডা. রিপল বাপ্পি চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ পর্যন্ত ২৮ জন আমার এখানে ভর্তি হয়েছেন। একজনের অবস্থা গুরুতর, তাকে আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago