বিএনপির জন্মই হয়েছে সম্পূর্ণ পাপের মধ্যে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আজ গণভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সমাপনী ভাষণে বলেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
দলীয় প্রধানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সভায় উপস্থিত সকল নেতাকর্মী হাত তুলে নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একমাত্র শক্তি জনগণ।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিগত সাড়ে ১৪ বছরে প্রতিটি এলাকায় যেসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে তা জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য তার দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশে এসব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
বিএনপি এবং এর নেতাদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, 'বিএনপির জন্মই হয়েছে সম্পূর্ণ পাপের মধ্যে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মধ্য দিয়ে এবং সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে বিএনপি অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যা, অবরোধ কর্মসূচিসহ নানা অপকর্ম করেছে। তবে, কোনো আন্দোলনই দেশ ও জনগণের ক্ষতি করতে পারবে না, কারণ, আওয়ামী লীগ একটি শক্তিশালী সংগঠন এবং জনগণের কাছে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু (বিএনপি) ধীরে ধীরে জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
গুজব ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারো কাছে মাথা নত করে না।
সভায় আওয়ামী লীগের প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মী ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অংশ নেন।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, উপদেষ্টা পরিষদ, আওয়ামী লীগের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও পৌরসভা ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভার মেয়র এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে দলের নেতৃবৃন্দকে দিকনির্দেশনা দিতে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সভার আয়োজন করে থাকে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালের ২৩ জুন এই ধরনের সর্বশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য রাখেন এবং ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম সভা পরিচালনা করেন।
Comments