কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে
লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি কমলেও কুড়িগ্রামে বেড়ে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কাউনিয়া তিস্তা সেতু পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখা গেছে।
তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ২৫টি গ্রাম ও চর প্লাবিত হতে শুরু করেছে। চর ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও আমন ধানের খেত।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উজান থেকে আসা পানির কারণে তিস্তায় পানি বেড়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে চলে আসবে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমার ও গঙ্গাধর নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। আপাতত পানি বৃদ্ধি বন্ধ রয়েছে।'
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তবে ব্যারেজের ভাটিতে তিস্তার পানি একনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আপাতত ভারত থেকে উজানের পানি আসা বন্ধ রয়েছে। এই মুহূর্তে তিস্তাপাড়ে বড় ধরনের বন্যা পরিস্থিতির কোনো আশঙ্কা নেই।'
রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় আমার ইউনিয়নে নদী তীরবর্তী ৬টি গ্রাম ও চর প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় ২ হাজারের বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। প্লাবিত গ্রামের পরিবারগুলোর খোঁজ রাখা হচ্ছে।'
রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশ্যাম গ্রামের কৃষক নজর আলী (৬৭) জানান, তাদের বাড়িতে নদীর পানি ঢুকে পড়ায় আজ সকালে গরু-ছাগল নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছেন।
এ ছাড়া তার ৮ বিঘা জমির আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
উলিপুর উপজেলার বজরা গ্রামের কৃষক সাদেক আলী (৬০) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাড়ির ভেতর ২-৩ ফুট নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। তারা এখনো বাড়িতে রয়েছেন। পানি আরেকটু বাড়লে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে আশ্রয় নিতে হবে। গ্রামের রাস্তাঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচল করতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
Comments