বিটিআই জালিয়াতি: মার্শাল অ্যাগ্রোকে কালো তালিকাভুক্ত করল ডিএনসিসি

উত্তর সিটি: বিটিআই ‘জালিয়াতি’ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সবিহীন

এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিটিআই রাসায়নিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মার্শাল অ্যাগ্রোভ্যাট লিমিটেডকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মার্শাল অ্যাগ্রো সিঙ্গাপুর থেকে জৈব কীটনাশক ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস ইসরায়েলেনসিস বা বিটিআই আমদানির দাবি করলেও, আমদানি শুল্ক নথি থেকে জানা যায় যে সেগুলো চীন থেকে আনা হয়েছিল।

বিষয়টি জানাজানি হলে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছিল ডিএনসিসি।

কিন্তু মার্শাল অ্যাগ্রোর ব্যাখ্যা গ্রহণ করেনি সিটি করপোরেশন। প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার পাশাপাশি বিটিআই সরবরাহের ক্রয় আদেশও বাতিল করেছে ডিএনসিসি।

বিষয়টি তদন্তে ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিটিআই সরবরাহে ডিএনসিসির উন্মুক্ত দরপত্রে অংশ নিয়ে সেরা দরদাতা নির্বাচিত হয় মার্শাল অ্যাগ্রো। শর্ত ছিল, অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইইউভুক্ত দেশ, সিঙ্গাপুর, ভারত বা মালয়েশিয়া থেকে বিটিআই আমদানি করতে হবে।

এদিকে এ ধরনের রাসায়নিক আমদানির লাইসেন্স মার্শাল অ্যাগ্রোর ছিল না বলেও পরে জানা গেছে।

অথচ প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তারা সিঙ্গাপুরের বেস্ট কেমিক্যাল কোম্পানি (এস) পিটি লিমিটেড (বেস্টকেম) থেকে ৫৩ লাখ টাকার বেশি মূল্যের ৫ টন বিটিআই আমদানি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago