সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার আইনি ক্ষমতা চান প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান

পাবনায় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য দেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম। ছবি: স্টার

প্রেস কাউন্সিল আইনে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তির বিধান না থাকায় সাংবাদিকরা নানাভাবে আইনি হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম।

আজ সোমবার পাবনায় 'গণমাধ্যমে হলুদ সাংবাদিকতা প্রতিরোধ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা' শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, 'বিদ্যমান প্রেস কাউন্সিল আইনে সংবাদের কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে কেউ মামলা করলে সর্বোচ্চ তিরস্কারের বিধান রয়েছে। অনেকেই তিরস্কারে সন্তুষ্ট হতে না পেরে সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালতে মামলা করছেন। ফলে সাংবাদিকদের আইনি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে, জেলে যেতে হচ্ছে।'

তিনি আরও বলেন, 'বর্তমান প্রেক্ষাপটে আইন সংশোধনের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। সরকার প্রেস কাউন্সিল আইন সংশোধন করে কাউন্সিলের বিচারিক ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ জরিমানার বিধান যুক্ত করার জন্য কাজ করছে।'

'আইন সংশোধন হলে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সবাই প্রেস কাউন্সিলের কাছে আসবে। প্রেস কাউন্সিল বিচার বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনে আদালতের কাছে পাঠাবে,' যোগ করেন বিচারপতি নাসিম।

তিনি আরও বলেন, 'আইন সংশোধন করে এখন সংবাদের কারণে সংক্ষুব্ধ হয়ে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান করা হয়েছে। এছাড়া প্রেস কাউন্সিলের আইনি সক্ষমতা বৃদ্ধি করাসহ সুয়োমুটোর অধিকার থাকবে।'

এতে করে সাংবাদিকদের আইনি হয়রানি কমবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সবসময় দেশের সম্মানিত নাগরিক হিসেবে মনে করেছেন বলেই তিনি প্রেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সাংবাদিকদের বেঁধে নিয়ে জেলে যেতে হবে এমনটি তিনি কখনোই ভাবেননি বলেই সে সময় তিরস্কারের বিধান দিয়েই আইন পাস হয়।'

প্রশিক্ষণে পাবনার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার অর্ধশতাধিক সাংবাদিক অংশ নেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক মূল আলোচনা করেন প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার।

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago