বানার সেতুর কাপাসিয়া অংশের ২ পাড় ভেঙে ঝুঁকিতে সেতু

গাজীপুর কাপাসিয়া টোক-গফরগাঁও সড়কের কাপাসিয়ায় বানার সেতুর মুখের অংশের দুই পাশে সড়ক ভেঙে পড়েছে। ছবি: স্টার

গাজীপুর-ময়মনসিংহ সংযোগে নির্মিত বানার সেতুর কাপাসিয়া অংশের দুই পাড় ভেঙে গেছে। এতে সেতুটি ভেঙে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ময়মনসিংহ সওজ, সড়ক সার্কেল, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রাশেদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বানার সেতুর মুখে ভেঙে যাওয়া সড়ক ঠিক করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উদ্বোধনের তিন বছরের মাথায় কেন ভেঙে গেল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে এমন হতে পারে।    

সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গাজীপুর কাপাসিয়া টোক-গফরগাঁও সড়কের কাপাসিয়ায় বানার সেতুর মুখের অংশের দুই পাশে সড়ক ভেঙে গেছে। সড়কে বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি বাঁকা হয়ে গেছে। সেতুর দক্ষিণ পাশের পশ্চিম অংশে বিরাট ভাঙন দেখা গেছে। ভাঙনের ভেতরের বালি ফসলি জমিতে পড়েছে।

কৃষক সোলায়মান, এখলাস ও দুলাল জানান, সেতুর মুখে সড়ক ভেঙে যাওয়ায় আমাদের ফসলের খেতও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

স্থানীয় মুদি দোকানি আবুল হাসান বলেন, এইখানে কাজে দুর্নীতি হয়েছে। যেসব পিলার বসানো হয়েছে পিলারগুলোতে কাজ ভালো হয় নাই। এর আগেও ভেঙে গেছে। মেরামত করে আবার ভেঙে যায়।

বানার সেতুর সড়ক ভেঙে পড়েছে। ছবি: স্টার

স্থানীয়রা আরও জানান, কাজের গাফিলতির কারণে এবং ঠিকাদারের নজরদারির অভাবে অল্প বৃষ্টি হলেই ভেঙে যায়। এভাবে যদি ভেঙে গেলে ভবিষ্যতে মূল সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি দুইটা জেলার সংযোগ সেতু। প্রচুর লোকজন আসা যাওয়া করে।

সেতু উত্তর অংশে রশিদ দিয়ে টাকা আদায়কারী শুভ জানান, ভেঙে যাওয়া সড়কের ব্যাপারে ইজারাদার কর্তৃপক্ষকে জানাবে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।

এলজিইডির কাপাসিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বানার সেতুর মুখে ভেঙে যাওয়া সড়কটির খোঁজ নিতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমানত হোসেন খাঁন বলেন, আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ভেঙে যাওয়া সেতুর সড়ক নিয়ে কথা বলেছি।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago