৩০০ কর্মীর বকেয়া পরিশোধ না করেই কারখানা লে-অফ ঘোষণা

ডার্ড ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেডের লোগো। ছবি: সংগৃহীত

ক্রয় আদেশ না থাকার কারণ দেখিয়ে কারখানা লে-অফ ঘোষণা করেছে সাভারের রাজফুলবাড়িয়ার ডার্ড ওয়াশিং প্ল্যান্ট লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।

কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই আজ শনিবার কারখানার মূল ফটকে লে-অফ ঘোষণার নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।

শ্রমিকরা জানান, এ কারখানায় মোট প্রায় ৩০০ জন কর্মী কাজ করতেন।  বৃহস্পতিবারও শ্রমিকরা কারখানায় কাজ করেছে। আজ সকালে কাজে গিয়ে তারা কারখানার গেটে নোটিশ দেখতে পায়।

তারা আরও জানান, কারখানার মিড লেভেলের কর্মীদের ৫ থেকে ১১ মাস পর্যন্ত বেতন বকেয়া আছে। শ্রমিকদের বকেয়া আছে ১ মাস।

গত বৃহস্পতিবার সই করা নোটিশে বলা হয়, 'ডার্ড ওয়াশিং লিমিটেডে কর্মরত সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমানে কারখানায় অর্ডার বা ক্রয় আদেশ না থাকার করণে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২ (১) অনুযায়ী আগামী শনিবার থেকে লে-অফ ঘোষণা করা হল।'

এতে আরও বলা হয়, 'পরবর্তীতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে লে-অফ এর বিষয়ে সমাধান করা হবে'।

শ্রমিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এভাবে লে-অফ ঘোষণা করায় কারখানার শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বে। শিগগির শ্রমিক ও মিড লেভেলের কর্মীদের বকেয়া পাওনা ও আইনগত পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।'

এর আগে বকেয়া পাওনাকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে রাজফুলবাড়িয়ায় অবস্থিত একই গ্রুপের পোশাক কারখানা ডার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড ও দীপ্ত গার্মেন্টস লিমিটেড বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

যোগাযোগ করা হলে ডার্ড গ্রুপের প্রধান (ওডি, এইচআর অ্যান্ড সিএসআর)  উজ্জল হায়দার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অর্ডার শূন্যের কোটায় নেমে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে। অনেকদিন ধরেই আমাদের অর্ডার নেই। আমরা দীর্ঘদিন শ্রমিকদের বসিয়ে বসিয়ে বেতন দিলাম।'
 
শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'মালিকপক্ষ শ্রমিকদের পাওনার বিষয়ে খুবই আন্তরিক। শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে।'

'সেক্ষেত্রে যদি একটা প্রজেক্ট বিক্রিও করতে হয়, তাও মালিকপক্ষ শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

19h ago