বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের মৃত্যু

রাসেলের সহকর্মীর অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে রাসেল নিহত হয়েছেন।
রাসেল হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর বাসন থানা এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

রাসেলের সহকর্মী আজ সোমবার অভিযোগ করেন, পুলিশ গুলিতে রাসেল নিহত হয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোশারাফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আজ সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা কয়েকস্থানে ভাঙচুর করেছে, টায়ার জ্বালিয়ে একটি জিপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য শর্টগান, টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করা হয়েছে।'

আন্দোলনরত শ্রমিকরা টায়ার জ্বালিয়ে একটি জিপ গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাসেলকে হাসপাতাল নিয়ে আসা সহকর্মী মো. আবু সুফিয়ান জানান, তারা 'ডিজাইন এক্সপ্রেস লিমিটেডে'র কারখানায় কাজ করেন তারা। রাসেল ওই কারখানাটির ইলেকট্রিশিয়ান ছিলেন।

নিহত রাসেল ঝালকাঠি সদর উপজেলার খাগুটিয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান হাওলাদারের ছেলে। তিনি মালেকের বাড়ি এলাকায় একটি মেসে থাকতেন।

সুফিয়ান বলেন, 'স্থানীয় ৫-৬টি গার্মেন্টসের কর্মীরা বেতন বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। সেজন্য সকালে আমাদের কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে আমরা হেঁটে বাসার দিকে রওনা দেই। তখন কারখানার সামনে পুলিশ আমাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশের ছোড়া ছররা গুলিতে রাসেল গুরুতর আহত হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।'

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসেলের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

The psychological costs of an uprising

The systemic issues make even the admission of one’s struggles a minefield

13h ago