বরিশাল সিটি করপোরেশন

সাদিক আব্দুল্লাহর নিয়োগ দেওয়া ১৩৪ কর্মচারী চাকরিচ্যুত

বরিশাল সিটি করপোরেশনে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৩৪ জন কর্মচারীর নিয়োগ বাতিল করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। 

আজ শুক্রবার সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।

তবে চাকরি হারানো কর্মচারীরা জানান, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। 

ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, 'করপোরেশনে দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মী চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণ। নিয়োগ দেওয়ার সময় শর্ত ছিল, যখন প্রয়োজন হবে নগর কর্তৃপক্ষ চাকরি বাতিল করতে পারবে।'

এ শর্তে ১৩৪ জনের নিয়োগ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতিল করা হয়েছে। 

আরও ৫১ জনের নিয়োগ রোববার বাতিল করা হবে বলেও জানান তিনি।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, বিদায়ী মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর শেষ সময়ে দৈনিক মজুরিভিত্তিক এই কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, প্রশাসন, হাটবাজার, পরিছন্নতা, ভাণ্ডার, বিদ্যুৎ, সম্পত্তি, জন্ম নিবন্ধন, প্রকৌশল, সিটি নিরাপত্তা, কর আদায়, সম্পত্তি, বাণিজ্য ও জনসংযোগসহ কয়েকটি শাখার ১৩৪ জন কর্মচারীর চাকরিচ্যুতির বিজ্ঞপ্তি নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয়েছে।

অপর ৫১ কর্মচারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও সূত্র জানিয়েছে। রোববার চূড়ান্তভাবে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে। 

এই ১৮৫ জনসহ মোট ৩০০ জনকে সাদিক আব্দুল্লাহ দায়িত্ব ছাড়ার এক মাস আগে নিয়োগ দেন।

নিয়োগ বাতিল হওয়া কর্মচারীদের অভিযোগ, দুই মাস কাজ করালেও তাদের কোনো টাকা না দিয়ে চাকুরিচ্যুত করা হচ্ছে।

করপোরেশনের বাণিজ্য বিভাগের কর্মী শুভ চন্দ্র দত্ত ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার নিয়োগ হয়েছে গত ১ সেপ্টেম্বর। দুই মাসের বেতন পেয়েছি। চলতি মাসের বেতন পাইনি, কোনো অফিসিয়াল আদেশ সম্পর্কেও জানি না। তবে শুনেছি আমাদের অফিসে আসতে বারণ করা হয়েছে।'

নিরাপত্তা কর্মী শহিদুল ইসলাম বলেন, 'আমি দুই মাস চাকরি করেছি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কাজ শেষ করে নগরভবনে গেলে, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন যে আমাকে আর কর্মস্থলে আসতে হবে না। আমাকে এক মাসের বেতন দেওয়া হয়নি।'

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

11h ago