যেভাবে গুলি থেকে রক্ষা পেলেন ডেইলি স্টারের সাংবাদিক

ধানমন্ডি এলাকায় ‘আবাহনী মাঠ পুলিশ বক্সে’র কাছে সংবাদ সংগ্রহে গিয়েছিলেন ডেইলি স্টারের সাংবাদিক শাহীন মোল্লা। ছবি: স্টার

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় 'আবাহনী মাঠ পুলিশ বক্সে' ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার তথ্য সংগ্রহে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে যান দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক শাহীন মোল্লা।

ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় এবং সেখানে অন্তত ২০ জন পুলিশ অবস্থান করছিল।

হঠাৎ করেই পুলিশের একটি অস্ত্র থেকে গুলি বের হয়ে যায় এবং বুলেটটি শাহীন মোল্লার পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি ঘটনা জানি না। দেখছি বিষয়টি।'

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহীন মোল্লা বলেন, 'আমি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আশেপাশের দোকানদার, পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলি। পুলিশ বক্সে রিকশাচালকদের হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করি।'

'পুলিশ বক্সে ভাঙচুর হয়েছে দেখেছি। কয়েকজন পুলিশ সদস্য ভেতরে ভাঙা কাঁচ ও অন্যান্য জিনিসপত্র পরিষ্কার করছিল। আমি সে সময় পুলিশ বক্সের দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিলাম, বলেন তিনি।

'আমার ঠিক পেছনে প্রায় দুই গজ দূরে দুজন কনস্টেবলের হাতে অস্ত্র ছিল। সম্ভবত একটি রাইফেল ছিল। হঠাৎ, বিকট শব্দ শুনি, অনুভব করলাম মুহূর্তের মধ্যে আমার পাশ দিয়ে কিছু একটা চলে গেল।'

'আমি পেছনে তাকাতেই এক কনস্টেবলকে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে থতমত করছেন। আমার পায়ের সামনে বুলেটের একটি খোসা দেখলাম। এক টোকাই সেটি উঠাতে গেলেই, অপর কনস্টেবল এসে তার হাত থেকে এসে সেটি নিয়ে নেয়।'
 
এসময় আশেপাশে প্রায় ১০ গজের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে আতঙ্কিত চেহারায় দেখেন শাহীন মোল্লা। 

তাৎক্ষণিক তাদের কয়েকজন দৌড়ে এসে জানতে চাইলেন গুলির শব্দের বিষয়ে। এক অফিসারকে তখন ওই দুই কনস্টেবল বললেন, 'স্যার, আমি জানতাম না যে এটা (আগ্নেয়াস্ত্র) লোড করা। অসাবধানতাবশত গুলি বের হয়ে  গেছে।'

ঘটনা জানার চেষ্টা করতেই কনস্টেবলসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা অস্ত্রটি নিয়ে যায়।

অস্ত্রটি রাইফেল নাকি, শটগান ছিল তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। কারণ, সেখানে পুলিশ সদস্যদের আর দেখা যায়নি। 

ঘটনাস্থলে থাকা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সব পুলিশ সদস্য এ ঘটনার বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

'বুলেটটি অল্পের জন্য আমার গায়ে লাগেনি,' বলেন শাহীন মোল্লা।

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

11h ago