সদ্য সাবেক এমপির গাড়িবহরে ‘ক্যাসিনো সাঈদের’ লোকজনের হামলার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুলের গাড়িবহরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের তৎকালীন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক ওরফে 'ক্যাসিনো সাঈদে'র লোকজন এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ওই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সিরাজুল ইসলাম।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, হামলায় সাবেক এমপি বুলবুলের ব্যক্তিগত সহকারি সাইফুর রহমান সোহেল ও তাদের গাড়িচালক ফারুক আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পাঁচটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সাবেক এমপি এবাদুল করিম বুলবুল এবং অভিযুক্ত একেএম মমিনুল হক সাঈদের গ্রামের বাড়ি একই এলাকায়।
আহত সাইফুর রহমান সোহেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন সাবেক এমপি বুলবুলের সমর্থক নবীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।'
'সভা শেষ করে ঢাকায় ফেরার পথে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে অল্প দুরত্বে সলিমগঞ্জ বাজারের সামনে ক্যাসিনো সাঈদের গ্রামের বাড়ি থোল্লাকান্দির বাসিন্দা আমিনুল আমাকে গাড়ি থেকে নামতে বলেন। আমি গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানালে আমিনুলের সঙ্গে থাকা পিস্তলধারীসহ আরও কয়েকজন যুবক লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। তারা মাইক্রোবাসের একটি কাঁচ ভেঙে ফেলে এবং আমাকে ও গাড়িচালক ফারুককে আহত করে। এরই মধ্যে এলাকার সাধারণ মানুষ তাদেরকে ধাওয়া দিলে তারা মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়,' বলেন তিনি
জানতে চাইলে সাবেক এমপি এবাদুল করিম বুলবুল বলেন, 'গতকাল বিকেলে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসী আমাদের বহরের একটি মাইক্রোবাসে হামলা করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।'
এদিকে অভিযুক্ত একেএম মমিনুল হক সাঈদের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, 'সাবেক এমপির গাড়িবহরে হামলার বিষয়ে এখনো কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments