সাগরে মাছ ধরা ট্রলারে জেলেদের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৭

বরগুনা

বরগুনায় বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার ট্রলারে জেলেদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে পাঁচ জনকে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাথরঘাটা এলাকায় বঙ্গোপসাগরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে চিকিৎসাধীন জেলেরা জানান।

তারা জানান, গত বুধবার সকালে আলম মোল্লার মালিকানাধীন এফবি শাহ মোহসেন আউলিয়া-৩ নামের একটি মাছধরা ট্রলারে ১৭ জন জেলে পাথরঘাটার লঞ্চঘাট থেকে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সাগরে যায়। সাগরে ফেলা জাল ওঠানোর সময় জালের রশি ছিঁড়ে গেলে ওই ট্রলারের মাঝি জয়নাল মিয়া ট্রলারের জেলেদের জাল ওঠাতে বলেন। এ সময় ট্রলারে থাকা কয়েকজন জেলে জাল টানতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায় এবং উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন। আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি আজ সোমবার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ভিড়লে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতদের সবার বাড়ি পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জেলে হানিফ বলেন, কয়েকদিন ধরে সাগরে ওই ট্রলারে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় ট্রলারের এক মাঝি অপর ট্রলারে ডাকাতি করতে বললে তাতে রাজি না হওয়ায় কয়েকজনকে মারধর করেন।

অপর আহত জেলে আফফান, মো. রাশেদ, হেলাল ও বেলাল বলেন ট্রলারের মাঝি জয়নালের নির্দেশে কয়েকজন জেলে আমাদের ওপর হামলা করে।

ট্রলার মালিক আলম মোল্লা বলেন, ডাকাতির কথা বানোয়াট। জাল টানা নিয়ে ট্রলারের জেলেদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করে দিয়েছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন বলেন, কয়েকজন আহত জেলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে পাঁচ জনের অবস্থা গুরুতর।

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) সাইফুজ্জামান বলেন, জেলেদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর শুনেছি। খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago