মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ, নাইক্ষ্যংছড়ির ৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের তুমব্রু সীমান্ত। ছবি: গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় মিয়ানমারে সীমান্তের ওপাড় থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।

এ অবস্থায় সীমান্ত ঘেঁষা ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসাসহ আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বান্দরবানের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হোসাইন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

আজ সোমবার সকাল থেকেই ঘুমধুম -তুমব্রু সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে বলে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান। 

এতে বাংলাদেশের ভেতরে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে, ঘুমধুম ও তমব্রু, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী এবং টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং এলাকার গ্রামবাসীরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।

ঘুমধুমের ইউপি সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত শনিবার থেকেই মিয়ানমারের ভেতরে থেমে থেমে গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকে ৩৩ নম্বর পিলার সীমানার খুব কাছাকাছি ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু পশ্চিম কুলে মিয়ানমারের ভেতরে সকাল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির বিকট আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।'

ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, 'কিছুদিন গোলাগুলি বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে আবারও গোলাগুলি ও বোমার আওয়াজের কারণে এলাকার লোকজনকে সতর্কতা বজায় রাখতে অনুরোধ করা হয়েছে।'

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ত্রিরতন চাকমা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকাল থেকে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাগুলির কারণে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাইশ ফাঁড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাজা বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম কুল তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দক্ষিণ ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।'

বান্দরবানের জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফরিদুল আলম হোসাইন বলেন, 'আজ সকালে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বন্দুকযুদ্ধের শব্দ শোনার পর থেকে স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।'

তিনি জানান, ঘুমধুম সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরের একটি মাদ্রাসায় ক্লাস চলাকালে সকালে মিয়ানমারে থেকে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।

ফরিদুল আলম বলেন, 'আমরা অবিলম্বে ওই মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করে দেই  এবং পরে সীমান্তের কাছে পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Patients suffer as national eye hospital remains closed for 4th day

The 250-bed hospital remained non-operational following a tripartite clash on Wednesday

1h ago