রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কথা না: খাদ্যমন্ত্রী

‘মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এটা মিলারদের সৃষ্টি।’
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ার কথা না এবং বাড়লে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ৩টায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে 'চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে করণীয়' বিষয়ে অংশীজনদের আয়োজিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'রমজানে ব্যবহৃত খাদ্যপণ্য, যেমন: ছোলা, খেজুর, চিনিসহ অন্যান্য জিনিসের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গতবার যে পরিমাণ এলসি খোলা হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি এলসি এবার খোলা হয়েছে।'

'রমজানে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। কোনোভাবেই যেন দাম না বাড়ে বা কেউ দাম না বাড়াতে পারে, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে,' যোগ করেন তিনি।

চাল আমদানির বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমরা এক বছর চাল আমদানি করিনি। এখনও যে পরিমাণ চাল আছে, তাতে করে এখন পর্যন্ত চাল আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। সরকারিভাবে আমরা চাল আমদানি করছি না। বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য অনুমতি দিয়ে রাখবো—যদি কোনো ম্যাসাকার না হয়, তার জন্য একটি পথ খোলা থাকলো।'

মতবিনিময় সভায় চালকলমালিকদের খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাকা মেমো ছাড়া মিল গেটে চাল বিক্রি করা যাবে না, করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বদ্ধ পরিকর।'

তিনি আরও বলেন, 'মিনিকেট বলে কোনো চাল নেই। এটা মিলারদের সৃষ্টি।'

ধান মজুদ করার কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, 'ধান গোডাউনে ঢুকবে, ধান বেরিয়ে যাবে। ঝিনাইদহে যে প্রতিকেজি চালের দাম দুই টাকা করে বেড়েছে, তা কোনো মিল মালিক স্বীকার করেন না। বরং আমিই বলেছি যে কুষ্টিয়া থেকে এই এই চালের এই এই দাম বেড়েছে। তারা মিটিংয়ে বলে গেছে যে কোনো ভাবেই দাম আর বাড়বে না।'

তিনি বলেন, 'আমি ডিসি, ভোক্তা অধিকার, মার্কেটিং কর্মকর্তাকে বলে দিচ্ছি, যদি মনিটরিং করে একদিন একসঙ্গে বাজারে নামেন এবং এ বিষয়ে কোনো ব্যত্যয় পান, তাহলে কঠোরভাবে মোবাইল কোর্ট করতে থাকেন। যদিও আমরা চাই না মোবাইল কোর্ট করে কাউকে অপমান করি। যদি আমাদের কেউ বাধ্য করায় তবে মোবাইল কোর্ট হবে। ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়ার সবধরনের উপদেশ দেওয়া হয়েছে।'

ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য আব্দুল হাই, জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন।

Comments