ঘুমধুম সীমান্তের শূন্যরেখায় মাছের ঘেরে ভেসে এলো মরদেহ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের শূন্যরেখায় একটি মৎস্য ঘেরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখা গেছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার আওতাধীন ঘুমধুম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় মৎস্য চাষী সাইফুল ইসলাম জানান, তার মাছের ঘের দক্ষিণ ঘুমধুমের সীমান্তবর্তী ৩১ নম্বর পিলারের এপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজের (স্থানীয়দের কাছে লালব্রিজ নামে পরিচিত) সামান্য পশ্চিমে। এটি শূন্য রেখার ২০ গজ ভেতরে এবং মিয়ানমারের ঢেকুবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্পের উত্তর পশ্চিম পাশে।
স্থানীয়দের ধারণা, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের দু'বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে মিয়ানমারের সীমান্ত চৌকি ঢেকুবুনিয়া বিজিপি ক্যাম্প থেকে শতাধিক সৈনিক পালিয়ে বাংলাদেশের ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। যাদের অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন। এর মধ্যে ৮ জনকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হয়তো তাদের মধ্যে যারা গুরুতর আহত হয়েছিলেন তারাই তুমব্রু খাল ও আশপাশে মারা গেছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, 'গত সপ্তাহের প্রচণ্ড গোলাগুলিতে কত মরদেহ মাঠে-ঘাটে পড়ে রয়েছে তার হিসাব নেই। সীমান্তে শূন্য রেখায় ও সীমান্তের খালে ভাসছে মরদেহ। দক্ষিণ ঘুমধুমের মাছের ঘেরে চারদিন হতে পড়ে রয়েছে একটি মরদেহ। বিজিবি এ মরদেহের খবর জানতে পারে গতকাল, এটি উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।'
পুলিশ পরিদর্শক মাহফুজ ইমতিয়াজ বলেন, 'মরদেহ এপারে ভেসে এসেছে, যা শূন্য রেখার ২০ থেকে ৩০ গজের মধ্যে। এটি আনতে জটিলতা রয়েছে। তাই বিজিবির সহায়তা দরকার। তবুও পুলিশের একটি দল আজ মঙ্গলবার বিকেলে নিরাপদ অবস্থানে থেকে মরদেহের অবস্থানস্থল দেখে এসেছে। মরদেহটি উদ্ধার করা হবে বিজিবির সাথে কথা বলার পর।'
Comments