মিয়ানমারের ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকা নেব না, তবে আমরা প্রস্তুত: তারিক আহমেদ

‘এটা কিলিং না—ইনসিডেন্ট বলতে পারেন। স্মাগলাররা অনেক সময় বিএসএফকেও আক্রমণ করে বসে, তখন তারা গুলি করে বাধ্য হয়ে। আমাদের তরফ থেকেও যেমন গুলি হয় মাঝে মাঝে।’
মিয়ানমারের ক্ষেত্রে আগ্রাসী ভূমিকা নেব না, তবে আমরা প্রস্তুত: তারিক আহমেদ
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, আমরা ডিফেন্ড করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। মিয়ানমারের গণ্ডগোলের আগেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম, এখনো প্রস্তুত আছি।

আজ মঙ্গলবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে অংশ নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, 'মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, আমরা কোনো সময় আগ্রাসী ভূমিকা নেব না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত, আমাদের ওপর যদি কোনো রকম আক্রমণ আসে, আমরা ব্যবস্থা নেব।'

তিনি বলেন, 'আমাদের সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব এমন, আমাদের বিশ্বজোড়া খ্যাতি আছে। আমরা ডিফেন্ড করার জন্য সব সময় প্রস্তুত। মিয়ানমারের গণ্ডগোলের আগেও আমরা প্রস্তুত ছিলাম, এখনো প্রস্তুত আছি। ওটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই যে, আমাদের ওপর কোনো আঘাত আসবে আর আমরা চুপ করে থাকব।'

ক্রস বর্ডার কিলিং পরিকল্পিত কিছু না মন্তব্য করে তারিক আহমেদ বলেন, 'এটা দুপক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ বর্ডারের ওই পাড়েও দোষ। কিলিং বলতে যেটা বোঝায়, এটা কিলিং না—ইনসিডেন্ট বলতে পারেন। স্মাগলাররা অনেক সময় বিএসএফকেও আক্রমণ করে বসে, তখন তারা গুলি করে বাধ্য হয়ে। আমাদের তরফ থেকেও যেমন গুলি হয় মাঝে মাঝে।'

ক্রস বর্ডার ইনসিডেন্ট হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'স্মাগলিং যদি বন্ধ থাকে, স্মাগলিং বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বর্ডার হাট চালু করেছেন। হাটের মাধ্যমেই আমাদের বেচাকেনা হবে। আমাদের যেমন কপি বিক্রি করছে পাঁচ টাকায়, কারওয়ান বাজারে কিনছি ৮০ টাকায়। এই জিনিসটা কিন্তু ওখানেও হয়। বর্ডার হাট হলে ওরাও উপকৃত হয়, আমরাও উপকৃত হই। ওটার ওপরই আমরা জোর দিচ্ছি।'

নির্বাচন পরবর্তী আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা আমাদের খুবই ভালো। এসব ছোটখাটো ঘটনা যেটা অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে ওটার জন্য আমরা সজাগ বেশি; এই যে আগুন লাগা—এসবের কিন্তু অর্থনীতির ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব পড়বে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে বিনিয়োগকারী আসবে না।'

তারিক আহমেদ বলেন, 'বৈদেশিক মুদ্রার সংকট যেটা হয়েছে, ওটা বাংলাদেশ ব্যাংক মোটামুটি কন্ট্রোল করেছে যতদূর জানি; আমি তো সরাসরি জড়িত না। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমি বলবো খুবই ভালো।'

আগুনের ঘটনাগুলো ষড়যন্ত্র মনে হচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'জেলা প্রশাসকদের বের করতে বলেছি। উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কাকতালীয় ব্যাপার ফটাফট একটার পর একটা হয়ে যাবে, যদিও এই মৌসুমটা ও রকমই। শুষ্ক মৌসুমে সাধারণত হয়। তবুও এটা দেখা উচিত।

'খতিয়ে দেখা ষড়যন্ত্রের জন্য শুধু না, শিথিল জায়গাগুলো শক্ত করা যাতে করে এটা আরও না হতে পারে,' যোগ করেন তিনি।

Comments