নিবন্ধিত-পেশাদার অনলাইন পোর্টালগুলোই থাকবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

‘গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার।’
মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত

অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০২৪ এর তৃতীয় দিনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কী আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সাংবাদিকরা যেমন বলেন, গোটা বাংলাদেশে গণমাধ্যমে একটা শৃঙ্খলা নিয়ে আসা দরকার, সাংবাদিকদের ন্যূনতম একটি যোগ্যতা থাকা দরকার, গণমাধ্যমকর্মী আইন শিগগিরই করে ফেলা দরকার, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকেও একই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। সাংবাদিকরাসহ সর্বস্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব।

গুজব প্রতিরোধে বা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো সুপারিশ অথবা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুজব নিয়ে জেলা প্রশাসকরাসহ আমরা সবাই চিন্তার মধ্যে আছি। গুজব প্রতিরোধ নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কিছু আলাপ হয়েছে। অনলাইনের মাধ্যমে যে গুজবগুলো ছড়ায়, সেটা প্রতিরোধ করতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একা পারবে না। এজন্য আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অনলাইনে কতগুলো অনিবন্ধিত পোর্টাল আছে, যে পোর্টালগুলো বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়ায়, সেগুলোকে শৃঙ্খলায় আনার একটা পরিকল্পনা আমাদের আছে। যেসব অনলাইন পোর্টাল পেশাদার, রেজিস্টার্ড (নিবন্ধিত) ও আইনগতভাবে সিদ্ধ, সেগুলোই থাকবে এবং চলবে। যাতে করে সবকিছুর মধ্যে একটা জবাবদিহি ও শৃঙ্খলা থাকে। যেটা সাংবাদিকরাও চান।

জেলা প্রশাসকরা এক্ষেত্রে কী ভূমিকা রাখতে পারেন, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা তৃণমূলের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তারা আমাদেরকে তথ্য পাঠাতে পারেন। প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো নিয়ে তারা অ্যাকশনে যেতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকরা তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে আরও কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। ক্যাবল অপারেটররা অনেক কিছু তাদের মতো কনটেন্ট দিয়ে দেয়, দর্শক-শ্রোতার কাছে পৌঁছায়। সেই কনটেন্টগুলো আসলে সঠিক কি না, ক্লিন ফিল্ডের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ হচ্ছে কি না, এ বিষয়গুলো আমরা জেলা প্রশাসকদের দেখার জন্য বলেছি।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

2h ago