নারীরা অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও কাজ করেন যা হিসাব করা হয় না: প্রধানমন্ত্রী

নারীদের সমাজের অর্ধেক অংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমাজের অর্ধেক কাজ না করলে সেই সমাজ দাঁড়াতে এবং সামনে অগ্রসর হতে পারে না।’
ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও সম্পৃক্ততার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে নারী-পুরুষ উভয়ের সমান অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'অর্থনৈতিকভাবে আমাদের আরও অগ্রসর হতে হলে দেশের নারী ও পুরুষকে সমভাবে শ্রম দিতে হবে। কারণ সমাজের অর্ধেক জনশক্তি নারী।' 

নগরীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

নানা প্রতিবন্ধকতা এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পর্যায়ে পাঁচ নারীকে 'সেরা জয়িতা পুরস্কার-২০২৩' প্রদান করেছেন।

নারীদের সমাজের অর্ধেক অংশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'সমাজের অর্ধেক কাজ না করলে সেই সমাজ দাঁড়াতে এবং সামনে অগ্রসর হতে পারে না।'

তিনি বলেন, 'নারী ও পুরুষ সমানভাবে কাজ করলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারব। আজ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি কারণ আমরা নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছি।'

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে প্রধানমন্ত্রী আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, 'আমাদের নারীরা কখনই পিছিয়ে থাকবে না।'

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত নারীদের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার দলই দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা সংবিধান ও ইশতেহারে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করেছে।

তিনি বলেন, 'শুধু বলার জন্য নয়, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছে।'

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সুযোগ সৃষ্টি করেছে, তবে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে।

'ঘরে থাকবেন না। কারণ সমাজের জন্যও নারীদের অনেক কাজ করতে হবে,' বলেন তিনি।

এক পরিসংখ্যানে নারীদের ৪৩ শতাংশ শ্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'তারা (নারীরা) আরও অতিরিক্ত কাজ করেন এমনকি অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও কাজ করতে হয় যা হিসাব করা হচ্ছে না।'

এ বছর সেরা জয়িতা পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- আনার কলি (অর্থনীতি), কল্যাণী মিঞ্জি (শিক্ষা ও চাকরি), কমলি রবি দাশ (সফল মা), জাহানারা বেগম (নিপীড়ন প্রতিরোধ) এবং পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।

অনুষ্ঠানের সভাপতি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পুরস্কার গ্রহনের পর জয়িতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কল্যাণী মিঞ্জি তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তরা প্রত্যেকে এক লাখ টাকার চেক, ক্রেস্ট, ও সনদপত্র গ্রহন করেন। শুরুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ওপর তথ্যচিত্র প্রর্শন করা হয়।

'জয়িতা' (বিজয়ী), একজন নারী যিনি সব প্রতিবন্ধকতাকে জয় সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন, এটি সংগ্রামী ও অদম্য নারীর প্রতীকি নাম। সরকার পাঁচটি বিভাগে জয়িতাদের পুরস্কার প্রবর্তন করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago