পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১ টাকায় ৭ পদের ইফতারি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য মাত্র এক টাকায় সাত পদের ইফতারি দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আমরা কলাপাড়াবাসী’। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ইফতারি দিচ্ছেন।
কলাপাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এক টাকায় ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য মাত্র এক টাকায় সাত পদের ইফতারি দিচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'আমরা কলাপাড়াবাসী'। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ইফতারি দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগটি চলবে পুরো রমজানজুড়ে। প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন রোজাদারের মধ্যে এ ইফতারি বিতরণ করা হচ্ছে।

কলাপাড়া শহরের দিন মজুর আবুল হোসেন জানান, মাত্র এক টাকায় ইফতার পেয়ে আমরা ভীষণ খুশি। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে চাল-ডাল কেনাই দুরূহ। সেখানে ইফতারি কিনে খাওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। এ সংগঠনের লোকজন নামমাত্র মূল্যে খাবার দেওয়ায় আমরা কিছুটা হলেও তৃপ্তিসহ ইফতার করতে পারছি।

শহরের অটো রিকশা চালক বাবুল মিয়া বলেন, রমজান মাসের শুরু থেকে সব কিছুর দাম আরও বেড়েছে। দোকান থেকে ইফতারি কিনে খেতে একজনের কমপক্ষে ৫০-৬০ টাকা লাগে। এক টাকায় সাত পদের ইফতারি পেয়ে আনন্দ লাগছে।

সংগঠনের সদস্যরা জানান, সংগঠনের সদস্যরা নিজেরা চাঁদা তুলে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রথম রমজান থেকে ইফতারি বিতরণ করছি। তারা একেক দিন একেক মহল্লায় ঘুরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। এক টাকার প্যাকেজে রয়েছে ছোলা, মুড়ি, খেজুর, পিয়াজু, চপ, বেগুনি ও আপেল।

'আমরা কলাপাড়াবাসী' সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব জানান, এক টাকা আসলে মূল বিষয় না। মানুষ যাতে এটাকে ত্রাণ বা দান মনে না করে সেজন্য আমরা এক টাকা নিচ্ছি। করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ২০২০ সালের রমজান মাসে এটি শুরু করেছিলাম। সেই থেকে এখনও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। এর মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। আমাদের এ উদ্যোগে সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসতে পারেন।

Comments

The Daily Star  | English
World Press Freedom Day 2024

Has Bangladesh gained anything by a restrictive press?

The latest Bangladesh Bank restriction on journalists is anti-democratic, anti-free press and anti-public interest.

10h ago