১ টাকা লাভে পণ্য বিক্রি করেও মাসে লাখ টাকা মুনাফা শাহ আলমের

শাহ আলমের দোকান থেকে পণ্য কিনছেন এক ক্রেতা। ছবি: সংগৃহীত

মাত্র এক টাকা লাভে খাদ্যপণ্য বিক্রি করে সরকারিভাবে পুরস্কৃত হয়েছেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহ আলম (৪২)। সামান্য লাভ করে বেশি ক্রেতা পাওয়ায় মাসে তার লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা হচ্ছে।

শাহ আলম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ পৌরসভার চরকুমিরা গ্রামের কাজল হক মালের ছেলে। শুক্রবার বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ক্রেস্ট ও সনদ দিয়ে সম্মানিত করেন তাকে।

গত বছর রমজান মাস থেকে মাত্র এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু করেন শাহ আলম। এই রমজানেও এক টাকা লাভে ছোলা, ডাল, চিনি, চিড়া, বেসন, মুড়ি, খেজুর, সয়াবিন তেলসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিক্রি করেছেন তিনি।

শাহ আলম জানান, ১৯৯৮ সালে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়ার করার পর সংসারের হাল ধরতে অন্যের দোকানে কাজ নেন। ২০১০ সালে নিজ এলাকায় দোকান দিয়ে মুদি পণ্যের ব্যবসা শুরু করেন। আশপাশে তেমন কোনো দোকানপাট না থাকায় তিনি অল্প লাভে ব্যবসা করার পরিকল্পনা করেন। গত বছর রোজায় তিনি এক টাকা লাভে পণ্য বিক্রি শুরু করেন। এতে তার দোকানে বিক্রি বেড়ে যায়। এ বছর রোজার আগে তার মাসিক মুনাফা লাখ টাকার মতো হলেও রোজা শুরুর এক সপ্তাহে মুনাফা চার-পাঁচ টাকায় পৌঁছায়। তার উদ্যোগের কথা ছড়িয়ে পড়ায় দূরান্ত থেকে ক্রেতারাও আসছেন।

ন্যায্য দামের পণ্য ক্রেতাদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগও নিয়েছেন শাহ আলম। এই কাজের জন্য তাকে একজন অটোরিকশা চালককে রাখতে হয়েছে।

এলাকার বাসিন্দা ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম বলেন, শাহ আলমের মতো দোকানদারকে পেয়ে রমজান মাসে খাদ্যপণ্য কিনতে এলাকাবাসীকে আর হয়রান হতে হয় না।

শাহ আলম বলেন, আমাকে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করায় খুব খুশি হয়েছি। আমাকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছেন টিসিবি পণ্য বিক্রির সুযোগ করে দেবেন। এটা হলে আমি উপকৃত হব।

Comments