যেখানে ১০-২০ টাকায় বিক্রি হয় টুকরা তরমুজ-বাঙ্গির প্যাকেট

ফল বিক্রেতা দ্বীন ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাজারে ফলের দাম কম আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। তাই তাদেরকে লক্ষ্য করেই কম দামে ফল বিক্রি করছেন তিনি।
কম টাকায় তরমুজ
ফল বিক্রেতা দ্বীন ইসলাম প্যাকেটে বিক্রি করছেন টুকরা তরমুজ ও বাঙ্গি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে ১০-২০ টাকা প্যাকেটে বিক্রি হচ্ছে টুকরা তরমুজ ও বাঙ্গি।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে ক্যাম্পের মুখে এমনই এক দোকানের খোঁজ পাওয়া যায়।

ফল বিক্রেতা দ্বীন ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাজারে ফলের দাম কম আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। তাই তাদেরকে লক্ষ্য করেই কম দামে ফল বিক্রি করছেন তিনি।

তিনি বলেন, 'বাইরের জেলা থেকে রাজধানীতে ফল আনার সময় অনেক ফল ফেটে যায়। আমরা কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ঘুরে কম দামে সেগুলো কিনে আনি।'

'ফলগুলো কেটে যে অংশটুকু খাওয়ার যোগ্য সেটুকু ছোট ছোট টুকরা করে কেটে প্যাকেটে ভরে ১০ টাকা ও ২০ টাকায় বিক্রি করি।'

কম টাকায় তরমুজ
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে প্যাকেটে বিক্রি হচ্ছে টুকরা তরমুজ ও বাঙ্গি। ছবি: শাহীন মোল্লা/স্টার

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে ফল বিক্রি শুরু করেন তিনি। ইফতারের আগ পর্যন্ত বিক্রি চলে।

দ্বীন ইসলাম আরও বলেন, 'এখন মূলত বাঙ্গি ও তরমুজ বিক্রি করছি ১০ টাকা প্যাকেটে। কেউ এক প্যাকেট কেনে, কেউ দুই প্যাকেট। অল্প আয়ের মানুষেরাই আমার ক্রেতা। সবমিলিয়ে প্রতিদিন ৮০০-১০০০ টাকা বিক্রি হয়। মোটামুটি ৩০০-৪০০ টাকা লাভ থাকে।'

এই দোকানে ফল কিনতে এসেছিলেন এক গৃহিনী। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একটা তরমুজের দাম ১৫০ টাকা, বাঙ্গিও ১০০ টাকার মতো। এই দামে কেনার সামর্থ্য নাই। এখানে ১০ টাকায় অল্প পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে। খেতে খারাপ না। ইফতারের জন্য নিচ্ছি।'

জেনেভা ক্যাম্পের ভেতরে এক দোকানে কারচুপির কাজ করেন মো. ইয়াসিন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমার দৈনিক আয় ৪০০-৫০০ টাকা। পাঁচ সদস্যের পরিবার। এই আয়ে চলা কষ্ট। বাজার থেকে ফল কেনা আমার সামর্থ্যের বাইরে। এখান থেকে ১০-২০ টাকার প্যাকেট নিয়ে যাই। এটা খুব সুবিধাজনক।'

জেনেভা ক্যাম্পে ৪০ হাজারের মতো বাসিন্দা। বিহারি ছাড়াও বাঙালিদের বসবাস।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago