পানিতে ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ে বর্ষবরণ শুরু

পানিতে ফুল ভাসিয়ে আজ থেকে পাহাড়ে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ। ছবি: স্টার

পানিতে ফুল ভাসিয়ে বৈসু, বিজু, বিসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিহু ও সাংলান নামে পরিচিত পাহাড়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ সামাজিক উৎসব বর্ষবিদায় ও বরণের উত্সব শুরু হয়েছে।

সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধ জীবনের প্রত্যাশায় আসন্ন নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে দিনটি শুরু হয়।

রঙিন পোশাক, অলঙ্কার এবং চুলে ফুল পরে আজ ভোরে ফুল ভাসায় সবাই। আজকের দিনকে বলা হয় 'ফুল বিজু'।

ভাসানোর জন্য ফুল। ছবি: স্টার

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের কাছে উৎসবের তাৎপর্য একই, যদিও তারা একে বিভিন্ন নামে অভিহিত করে থাকে। চাকমারা একে বলে বিজু, মারমা-রাখাইনরা বলে- সাংগ্রাই, ত্রিপুরা-বৈসু, তংচঙ্গ্যা-বিশু, অহমিয়া- বিহু, খুমি-সাংক্রাইং, খিয়াং-সাংলান এবং ম্রোরা বলে চাংক্রান।

চাকমারা এই উৎসবকে বিজু বলে এবং তিন দিনব্যাপী উদযাপন করে। বিজুর প্রথম দিন 'ফুল-বিজু'। এদিন নদী-হ্রদে ফুল ভাসিয়ে পুরোনো বছরকে বিদায় দেয় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানানো হয়। সেসময় তারা সবার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন।

ফুল ভাসাতে হ্রদের পাড়ে ভিড়। ছবি: স্টার

দ্বিতীয় দিন মুল বিজু নামে পরিচিত। এই দিনটি নদীতে স্নানের মাধ্যমে শুরু হয় এবং ছোটরা বড়দের কাছে আশীর্বাদ চায়। এদিন নতুন পোশাক পরে গ্রামে ঘুরে বেড়ায় ছেলেমেয়েরা। বিজু নৃত্যের মধ্য দিয়ে দিন শেষ হয়।

উৎসব শেষ হবে আগামী রোববার বাংলা নববর্ষের দিন 'গজ্যাপজ্যা' বা বিশ্রামের মধ্য দিয়ে।

ত্রিপুরা সম্প্রদায় এই উৎসবকে বৈসু নামে ডাকে। তিন দিনব্যাপী এই উৎসব (হারি বৈসু, বৈসুমা ও বাইসু কাতাল নামে পরিচিত) উদযাপন করে। প্রথম দিন তারা খুব ভোরে ফুল কুড়াতে বের হয়, সকালে নদীতে যায় (পরিবার, জাতি, দেশ ও পৃথিবীর সুখ, শান্তি ও কল্যাণ) উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করতে।

এই উৎসবে পুরুষরা ধুতি, সাদা পোশাক এবং নারীরা রঙিন পোশাক ও রূপার গয়নাসহ বিভিন্ন অলংকার পরে থাকেন। সারাদিন নানা ধরনের আয়োজন থাকে।

বর্ষবরণ উৎসবে সকালে হ্রদের পানিতে ফুল ভাসানো হয়। ছবি: স্টার

ম্রো, মারমা ও রাখাইন, খিয়াংসহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বর্ষবিদায় ও বরণের অনুষ্ঠানে বিভিন্ন আয়োজন করে থাকে।

Comments

The Daily Star  | English

Kamal Hossain urges vigilance against obstacles to nation-building effort

"The main goal of the freedom — gained through the great Liberation War — was to establish democracy, justice, human rights and build a society free from exploitation. But we have failed to achieve that in the last 54 years," says Dr Kamal

41m ago