ফিটনেসবিহীন গাড়ি কোনো অবস্থাতেই চলতে দেওয়া যাবে না: পুলিশ সদর দপ্তর

প্রতীকী ছবি

ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তর তাদের প্রতিটি ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছে, ফিটনেসবিহীন কোনো যানবাহন যেন রাস্তায় চলাচল করতে না পারে।

আজ সোমবার মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা থেকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, 'ফিটনেসবিহীন গাড়ি কোনো অবস্থাতেই চলতে দেওয়া যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।'

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ১৭ হাজার যানবাহন ফিটনেস সনদ নেয়নি।

ফিটনেসবিহীন যানবাহন চালানোকে সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিআরটিএ জানিয়েছে, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যু যথাক্রমে ৬০ দশমিক ২৮ শতাংশ ও ৪০ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেড়েছে।

গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ১ হাজার ৬৩০টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৪৭৭ জন নিহত এবং ১ হাজার ৯২০ জন আহত হয়েছেন।

গত বছরের প্রথম তিন মাসে ১ হাজার ১৭টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১ হাজার ৫১ জন নিহত ও ১ হাজার ৪৪০ জন আহত হয়েছেন।

পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত আইজিপি আরও নির্দেশ দেন, গুজব ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।

তিনি বলেন, 'এ ধরনের কোনো গুজব ছড়ালে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সঙ্গে নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।'

তিনি গুজব প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

অতিরিক্ত আইজিপি হারানো মোবাইল ফোন উদ্ধার তৎপরতা বাড়াতে এবং এর জন্য টহল জোরদার ও পুরনো মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়স্থলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় ডাকাতি মামলা গুরুত্বসহ তদন্ত করে দোষীদের বিচার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এ ছাড়া, পুলিশ হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন এবং প্রসিকিউশন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্যও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Jamuna Bridge tailback returns as Eid holidaymakers heading back

The traffic jam, which began around midnight, continued to spread and covered at least 20 kilometres on both sides of the bridge by this morning

1h ago