পোপের সঙ্গে ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ: ফিলিস্তিনসহ সব সংঘাত বন্ধের আহ্বান

ভ্যাটিকান সিটিতে মানব ভ্রাতৃত্বের দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে অধ্যাপক ড. ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

ভ্যাটিকান সিটিতে মানব ভ্রাতৃত্বের দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সম্মেলনে পিস রাউন্ড টেবিলের কো-চেয়ার ছিলেন ড. ইউনূস। রাউন্ড টেবিলে বৈশ্বিক সংকট নিয়ে আলোচনার সময় ফিলিস্তিন ও বিশ্বজুড়ে সব সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানানো হয়।

সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল-আমরা যুদ্ধ প্রত্যাখ্যান করি: অস্ত্রের ওপর কূটনীতির জয় হোক, আমরা শান্তি চাই।

আজ বুধবার গণমাধ্যমে ইউনূস সেন্টারের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, আমরা মানব ভ্রাতৃত্বের দ্বিতীয় বিশ্ব সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তি ও বেসরকারি সংস্থা নিম্নলিখিত ঘোষণা করছি:

যেহেতু যুদ্ধের দাবানল ইউক্রেন, গাজা উপত্যকা ও ফিলিস্তিনি অধিকৃত অঞ্চল, সুদান, মিয়ানমার, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র এবং বিশ্বব্যাপী আরও অনেক স্থান বিধ্বস্ত করেছে, আমরা মানব ভ্রাতৃত্বের দ্বিতীয় বিশ্ব সভায় অংশগ্রহণকারীরা সর্বত্র চলমান সংঘাতের অবসানের জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি।

ইউক্রেনে আগ্রাসন বন্ধ হোক এবং একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির প্রতি সমাধান পাওয়া যাক।

গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে হত্যা বন্ধ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করতে হবে এবং মানবিক সাহায্যের জন্য নিরাপদ এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য দৃঢ় সংকল্পের সঙ্গে অনুসরণ করার পাশাপাশি জেরুজালেম শহরের জন্য আন্তর্জাতিক বিশেষ মর্যাদাকে দৃঢ়তার সঙ্গে অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি যেন ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে বসবাস করতে পারে।

গাজায় নিহত প্রায় ১৪ হাজার শিশু বা যারা ক্ষুধা ও অসুখে মারা যাচ্ছে, বোমা হামলায় আক্রান্ত হাসপাতালগুলোতে তারা আশ্রয় নিতে পারছে না এবং তারা সেখানে আর থাকতে পারে না। গাজায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি দিতে হবে। জিম্মি ও রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা এড়াতে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হোক।  আমাদের সুদান, ইয়েমেন, ইথিওপিয়া, ডিআরসির মতো জায়গায় অভ্যন্তরীণ সংঘাতের বৃদ্ধি রোধ করা উচিৎ এবং বিশ্বজুড়ে সব সংঘাতের অবসান ঘটানো উচিৎ।

আমরা শান্তিকে মানুষের সহাবস্থানের মৌলিক ভিত্তি হিসেবে নিশ্চিত করার জন্য একটি আন্তরিক আবেদন জারি করছি।

শান্তি শুধু যুদ্ধের অনুপস্থিতি নয়, এটি ভ্রাতৃত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্যের অবসান, লিঙ্গ সমতা, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি দায়বদ্ধতা, জাতি ও সম্প্রদায়ের মধ্যে সহযোগিতা। এটি সম্প্রীতি, সৃষ্টির পবিত্রতা এবং সুরক্ষা। শান্তি প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার।

শান্তি আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে আছে এবং আমাদের প্রত্যেকের প্রতিদিনের পছন্দে এর প্রতিফলন দেখা যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Eid morning in 6 pictures

The morning of Eid-ul-Azha follows old, well maintained patterns

1h ago