আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়া বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

রয়টার্স ফাইল ছবি

আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। দুই দেশের মধ্যে নতুন সই হওয়া ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির আওতায় তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

লন্ডনে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকে প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস (এসওপি) সই হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ বিষয়ক মন্ত্রী জেমস টমলিনসন-মাইনরস কেসি এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বৃহস্পতিবার এ বৈঠক করেন এবং দুই দেশের মধ্যে এসওপি সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজ শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ২০১৭ সালে একটি এসওপি সই হয়েছিল, এরই ধারাবাহিকতায় নতুন এসওপি সই হয়েছে যার মাধ্যমে অবৈধ বাংলাদেশিদের যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

দ্য টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত বছরের মার্চ থেকে শিক্ষা, চাকরি বা ভ্রমণ ভিসায় যেসব বাংলাদেশি যুক্তরাজ্যে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন তাদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, শুধু আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থদেরই নয়, কোনো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বা যাদের ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে তাদেরকেও এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মাসে ফাঁস হওয়া একটি সরকারি নথি থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চ থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত এক বছরে যুক্তরাজ্যে ২১ হাজার ৫২৫ জন আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন, যা তার আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

গত এক দশকে দেশটিতে ১ লাখ ২ হাজার জন ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে ঢোকার পর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। এদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৭ হাজার ৪০০ জন পাকিস্তানি, ১১ হাজার বাংলাদেশি, ৭ হাজার ৪০০ জন ভারতীয়, ৬ হাজার ৬০০ জন নাইজেরিয়ার এবং ৬ হাজার জন আফগানিস্তানের নাগরিক।

গত বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের অনুমতি নেই, বিভিন্ন দেশের এমন ২৬ হাজার জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যার সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

ICT case: Hasina charged with crimes against humanity

ICT prosecution pressed formal charges against Sheikh Hasina in a case filed over crimes against humanity committed during July mass uprising

1h ago