লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে বাড়ছে পানি, দুশ্চিন্তায় নদীপাড়ের মানুষ

লালমনিরহাটে গোবর্ধান গ্রামে তিস্তার পানি বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। ছবিটি শুক্রবার বিকেলে তোলা। ছবি: এস দিলীপ রায়

বৃষ্টি ও উজানের পানিতে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধরলাসহ ২৬টি নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে পানি এখনও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

আজ শুক্রবার সকাল থেকে নদ-নদীপাড়ে নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। নদ-নদী তীরবর্তী অনেক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানি আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষজন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, শুক্রবার সকালে তিস্তা নদীর পানি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা তিস্তা ব্যারেজ দোয়ানী পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার বেড়ে ৫১ মিটার ৩০ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবাহ এখনও বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে।

ছবি: এস দিলীপ রায়

ধরলা নদীর পানি লালমনিরহাট সদর উপজেলার শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ২৯ সেন্টিমিটার বেড়ে ২৯ মিটার ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বিপৎসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কুড়িগ্রামের চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন এলাবায় তিস্তাপাড়ের আছিয়া বেওয়া (৬৭) শুক্রবার বিকেলে জানান, সকাল থেকে তার বাড়িতে তিস্তা নদীর পানি ঢুকতে শুরু করেছে। বাড়ির নলকূপ পানিতে ডুবে গেছে। ঘরের ভেতর পানি ঢুকেছে। পানি আরেকটু বাড়লে তাকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদে যেতে হবে।

একই গ্রামের সোহরাব হোসেন (৬০) বলেন, নদীপাড়ের নিম্নাঞ্চলের এলাকাগুলোতে তিস্তা নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। তার ঘরের ভেতরে নদীর পানি ঢুকেছে। শুক্রবার সকালে পানি বেড়েছে, বিকেল পযর্ন্ত পানি কমেনি। তিস্তায় আরেকটু পানি বাড়লে তারা বাড়িতে থাকতে পারবেন না। নদীর পানি বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, 'নদ-নদীর পানি বেড়েছে। পানি আরও বাড়তে পারে। তবে আপাতত বন্যার আশঙ্কা নেই। যেহেতু ভাটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে, তাই তিস্তার পানি দ্রুত নেমে যাচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

9h ago