পাওয়ারম্যান মালয়েশিয়ার প্রথম বাংলাদেশি নারী ফিনিশার ছন্দা

গত ৯ জুন মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে অনুষ্ঠিত এই এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ থেকে প্রথম কোনো নারী ডুয়াথলনে অংশ নিয়ে ফিনিশার হলেন ছন্দা।
ডুয়াথলন, পাওয়ারম্যান মালয়েশিয়া, মালয়েশিয়া, পুত্রজায়া, কানিজ ফাতেমা ছন্দা,
কানিজ ফাতেমা ছন্দা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বে ডুয়াথলনের (রানিং, সাইক্লিং এবং রানিং) সবচেয়ে বড় আসর পাওয়ারম্যান মালয়েশিয়া-২০২৪ এ অংশ নিয়ে সফলতার সঙ্গে শেষ করা প্রথম বাংলাদেশী নারী এথলেট হয়েছেন কানিজ ফাতেমা ছন্দা (৩৪)।

পাওয়ারম্যান মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জুন মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে অনুষ্ঠিত এই এশিয়া চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ থেকে প্রথম কোনো নারী ডুয়াথলনে অংশ নিয়ে ফিনিশার হলেন ছন্দা।

বাংলাদেশে অপ্রচলিত এই গেমসে বাংলাদেশির তেমন অংশ না নিলেও ‍পুরো বিশ্ব থেকে ২ হাজার ১৮৩ জন এই আসরে অংশ নেন। তাদের মধ্যে নারী প্রতিযোগীরা সংখ্যা ছিল ৩৩১ জন।

এই প্রতিযোগিতার সংক্ষিপ্ত ক্যাটাগরিতে (প্রথমে পাঁচ কিলোমিটার দৌড়। এরপর ৩০ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং শেষে আবার পাঁচ কিলোমিটার দৌড়) অংশ নেন ছন্দা। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট পাঁচজন প্রতিযোগী আসরটিতে অংশ নিয়েছিলেন।

কানিজ ফাতেমা ছন্দা
কানিজ ফাতেমা ছন্দা। ছবি: সংগৃহীত

২০২২ সালে একই জায়গায় অনুষ্ঠিত পাওয়ারম্যান মালয়েশিয়া-২০২২ এ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন বাংলাদেশের সাইক্লিংয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতায় স্বর্ণজয়ী রাকিবুল ইসলাম (৩১)।

এর আগে, ছন্দা স্কুল অফ সাইক্লিং: ফেমিনার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত ঢাকার লালমাটিয়ায় তিনি প্রায় দুই হাজার নারীকে সাইক্লিংয়ের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।

ছন্দা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাইক্লিং, রানিং বা এথলেটিকসের বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ থেকে অংশ নেওয়া নারী প্রতিযোগীর সংখ্যা একেবারেই কম। কারণ সরকারি বা বেসরকারিভাবে কোনো পৃষ্ঠপোষকতা নেই বললেই চলে।'

সম্পূর্ণ নিজের খরচে (প্রায় দুই লাখ টাকা) তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান।

'এ ধরণের প্রতিযোগিতায় সরকারি বা বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে বাংলাদেশের নারীরা বিশ্ব আসরে সুনাম বয়ে আনবেন বলে মনে করি,' বলেন কানিজ ফাতেমা ছন্দা।

বিশ্বের কঠিনতম এই আসরে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, 'আমি মূলত সাইক্লিস্ট। আগে রানিং করিনি। তিন মাস আগে প্রথমে আমার বন্ধুরা আমার জন্য রেজিস্ট্রেশন করে দেয়। পরে তাদের অনুপ্রেরণায় রাকিবুল হাসান ভাইয়ের কাছে তিন মাস প্রশিক্ষণ নেই। এরপর প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। প্রতিযোগিতার দিন আমি অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ি। তবে শেষ করতে পেরেছি এটাই অনেক।'

'ভবিষ্যতে আরও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনতে চাই,' বলেন ছন্দা।

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

5h ago