মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রেখে প্রজ্ঞাপন

সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। ফাইল ছবি

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পাঁচ শতাংশ রেখে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত রোববারের আদেশের পর আজ মঙ্গলবার এ প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।

আজ দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রজ্ঞাপনের বিষয়বস্তু পড়ে শোনান।

প্রজ্ঞাপনের বিষয়ে বলা হয়, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, স্ব-শাসিত ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারের বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি সংশোধন।

সমতার নীতি ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর সরকারি কাজে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে সব গ্রেডে নিম্নরূপভাবে কোটা নির্ধারণ করা হলো—

ক. মেধাভিত্তিক ৯৩ শতাংশ

খ. মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য পাঁচ শতাংশ

গ. ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জন্য এক শতাংশ

ঘ. শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য এক শতাংশ

নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্যপদ সাধারণ মেধাতালিকা থেকে পূরণ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সরকারের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের কোটা বাতিলের পরিপত্রসহ এ সংক্রান্ত সব ধরনের পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন, আদেশ, অনুশাসন বাতিল করা হয়েছে এ প্রজ্ঞাপনে।

গতকাল জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানান, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। ফলে, তাদের জন্য কোনো কোটা থাকছে না।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল সংক্রান্ত ২০১৮ সালের এক পরিপত্র গত ৫ জুন বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। পরে সরকারের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের আদেশের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দেন। গত ২১ জুলাই দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ সংক্রান্ত রায় ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh to clear rooppur dues

Govt moves to clear Rooppur dues to Russia after US waiver

Central bank seeks nod from Washington after Russia's reply

11h ago