ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না, আ. লীগ নেতাকর্মীদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার সবাই বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল | ফাইল ছবি

রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পকেটে হাত রেখে ঘুমিয়ে থাকলে চলবে না। ওরা সুযোগ বুঝে ঘরে ঢুকে মেরে ফেলবে। আমাদের যা করার কথা ছিল তা করতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ বিস্মিত হয়েছি, হতবাক হয়েছি। আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছিলাম। যে বাঙালি এই কাজ কীভাবে করতে পারে। পরবর্তীতে মনে হয়েছে যে, এই বাঙালিইতো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালিকে হত্যা করেছে। এই বাঙালিরাই আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এই ঘটনাটাই আমাদের সবকিছু মনে করিয়ে দেয়। তবে নাশকতাকারী যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত নাশকতাকারীরা চিহ্নিত হবে না ততক্ষণ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমরা বীরের জাতি। একাত্তরে অস্ত্র ছাড়াই জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত বিচক্ষণ ও দূরদর্শী চিন্তাভাবনা সম্পন্ন একজন মানুষ। রংপুরে যে নাশকতা হয়েছে, এর পেছনে কারা জড়িত এবং কারা অর্থের যোগানদাতা সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন।

সভার শুরুতে সহিংসতায় রংপুরে ক্ষয়ক্ষতি ও সার্বিক পরিস্থিতি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে তুলে ধরেন জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান। এতে বলা হয়, রংপুরে মোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় পৌনে এগারো কোটি টাকা। নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন ১৮২ জন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রংপুর নগরীর তাজহাট থানা, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ অফিস, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন। এ সময় পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য টিপু মুনশিসহ পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বগুড়ায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে আমরা মনে করেছিলাম, কোটা আন্দোলনকারীরা ধন্যবাদ দেবে মহামান্য বিচারপতিকে, ধন্যবাদ দেবে সরকারকে যে, আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু এরপর ইতোমধ্যে অনেক জল গড়িয়েছে আপনার দেখেছেন। যারা বাংলাদেশ চায়নি, সেই সবগুলো দল একত্রিত হয়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। বগুড়াও সেখান থেকে বাদ যায়নি।

'আসল কথা ছিল দেশকে কীভাবে অকার্যকর করা যায়। দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে, সেটা কীভাবে স্তব্ধ করা যায়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নস্যাৎ করা কীভাবে যায় সেটাই ছিল মূল লক্ষ্য,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago