বরিশাল ও ভোলায় সংঘর্ষে নিহত অন্তত ২

বরিশালে ৩৫ জন ও ভোলায় অন্তত শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বরিশালে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশাল ও ভোলায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

বরিশালে নিহত হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা টুটুল চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শী ও মেডিকেল সূত্র তার পরিচয় নিশ্চিত করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টুটুল চৌধুরীর ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে ঘণ্টাখানেক পর তিনি মারা যান।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, 'তার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।'

হাসপাতাল সূত্র জানায়, আন্দোলনকারী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত অন্তত ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ভোলা

ভোলায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ১ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে জসিম (৪০) নামে একজন মারা গেছে বলে ভোলা সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল কুমার শীল দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ অন্তত শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ভোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত হয় আন্দোলনকারীরা। ১০টার দিকে তারা ইলিশ চত্বর দখল করে।

বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে কালিনাথবাজার, মহাজনপট্টি, বরিশাল দালান হয়ে বাংলা স্কুল মোড়ে পৌঁছালে ছাত্রলীগ বাধা দেয়।

কিন্তু ছাত্রজনতার তোপের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয় ছাত্রলীগ। 

বিক্ষোভকারীরা ছাত্রলীগের মোটরসাইকেলে, জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, উপজেলা ভূমি কার্যালয়, ভোলা পৌরসভা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ডিসি অফিসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালায়। 

পরে পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে।

হামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সংগঠনের ২৫ জন আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে নেতা-কর্মীরা।

Comments