ভারত-চীনসহ সব দেশের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ভারতকে বাংলাদেশের জনগণ ভালো বন্ধু মনে করে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রোববার বলেছেন, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।

রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার প্রথম প্রেস ব্রিফিংয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, 'আমাদের নীতি হলো জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করে সব দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্যে আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং কারো সঙ্গে শত্রুতা চাই না।'

তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি পদক্ষেপে স্বচ্ছতা ও সততা বজায় রাখা হবে। 'আমাদের প্রাথমিক কাজ হলো আমাদের স্বার্থ রক্ষা করা।'

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানতে চাইলে তৌহিদ ভারসাম্যপূর্ণ কূটনীতির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, 'এমন ধারণা করা অর্থহীন যে এই অন্তর্বর্তী সরকার কেবল বিশেষ কোনো দিকের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে আছে। আমরা ভারত ও চীনসহ সকল দেশের সঙ্গে আন্তরিক ও ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই।'

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের তাৎপর্য তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন উল্লেখ করেন যে উভয় দেশের মধ্যে একটি সুদৃঢ় ও গভীর বন্ধন রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে ভারত সম্পর্কে জনগণের ধারণা গড়ে তোলার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, 'এটা গুরুত্বপূর্ণ যে ভারতকে বাংলাদেশের জনগণ ভালো বন্ধু মনে করে। আমরা সেটাই চাই, আমরা (ঢাকা-দিল্লি) সম্পর্ককে সেই দিকে এগিয়ে নিতে চাই। আমরা দেখতে চাই ভারত এ ব্যাপারে আমাদের সহযোগিতা করবে।'

তৌহিদ হোসেন ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক থেকে বাস্তব সুফল লাভের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।

তিনি আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছ থেকে সমর্থন লাভের বিষয়টি স্বীকার করে বলেছেন যে, 'তাদের উদ্বেগ আমাদেরও উদ্বেগ।'

উপদেষ্টা সাম্প্রতিক ঘটনার জন্য দায়ী অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সম্পর্কে মন্তব্য না করে বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা। এই মুহূর্তে জল্পনা-কল্পনা অপ্রয়োজনীয়।'

সংখ্যালঘু ইস্যুতে হোসেন জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিগগিরই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এক সপ্তাহের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারভুক্ত এবং কেবল তাদের কাছ থেকে অনুরোধ পেলেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনো ব্যবস্থা নেবে।

Comments

The Daily Star  | English
Dhaka University suspends exams

DU bans all forms of politics on campus

Dhaka University Syndicate tonight decided to ban all forms of partisan politics by teachers, students and staff on the university campus until further notice

36m ago