বিদ্যুতের ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া চেয়ে ড. ইউনূসকে আদানির চিঠি

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি পাওয়ার ৮ -৯ মাসের বিদ্যুতের দাম বাবদ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাবে।
গৌতম আদানি। ছবি: সংগৃহীত

বিদ্যুতের দাম বাবদ ৮০০ মিলিয়ন ডলার দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে চিঠি দিয়েছেন গৌতম আদানি।

আজ মঙ্গলবার ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আদানি গ্রুপের আদানি পাওয়ার বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আদানি গ্রুপের এই পাওনা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

২৭ আগস্ট তারিখ উল্লেখ করা চিঠিটির কপি ইকোনমিক টাইমস পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। ড. ইউনূসকে লেখা আদানির ওই চিঠিতে বলা হয়, 'বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করায় ঋণদাতারা আমাদের ওপর কঠোর হচ্ছে। আমি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে পাওনা ৮০০ মিলিয়ন ডলার দ্রুত ছাড় করতে আপনার সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি।'

চিঠিতে আরও বলা হয়, 'আমরা যেহেতু প্রতিশ্রুতি মেনে নিয়মিত (বিদ্যুৎ) সরবরাহ করে যাচ্ছি, তাই বিলগুলো নিয়মিত পরিশোধের অনুরোধ করছি এবং এখনকার পাওনাগুলো প্রতি মাসের বিলের সঙ্গে পরিশোধের অনুরোধ করছি।'

এর আগে গত ২৭ আগস্ট ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আদানি পাওয়ার ৮ -৯ মাসের বিদ্যুতের দাম বাবদ প্রায় ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাবে।

ঝাড়খান্ডের গোড্ডার ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র গত বছরের জুন থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে আদানি গ্রুপ।

বকেয়া পাওনার বিষয়ে ইকোনমিকস টাইমসের ইমেইলের জবাব দেয়নি আদানি গ্রুপ।

তবে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন কয়েকজনের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বিদ্যুৎ সরবরাহ বাবদ আদানিকে প্রতিমাসে বাংলাদেশের ৯০-৯৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধের কথা। কিন্তু এর বিপরীতে মাসে ৪০-৪৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হচ্ছে, যে কারণে গত কয়েক মাসে বড় বকেয়া জমে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

S Alam sons: They used fake pay orders even to legalise black money

Ashraful Alam and Asadul Alam Mahir, two sons of controversial businessman Mohammed Saiful Alam, deprived the state of Tk 75 crore in taxes by legalising Tk 500 crore in undisclosed income, documents obtained by The Daily Star have revealed.

3h ago