প্রবাসী কর্মীদের জন্য যেসব উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার

রেমিট্যান্স
প্রবাসী শ্রমিক। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সরাসরি রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবে প্রবাসীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণমাধ্যমকে তিনি আরও বলেন, এখন থেকে ১২টি বেসরকারি ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ দিতে পারবে।

সোনালী ও অগ্রণী ব্যাংকের দুর্গম অঞ্চলের শাখায়ও প্রবাসী কল্যাণের বুথ থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'প্রবাসে কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হন। দূতাবাস ঠিকমতো কাজ করে না। সেসব জায়গায় অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা থাকবে। তাদের দায়িত্ব নিয়মিত মনিটর করা হবে। দায়িত্বে অবহেলা হলে পরিবর্তন আনা হবে।'

আসিফ নজরুল জানান, প্রবাসীরা টাকা পাঠালে মানি এক্সচেঞ্জ হাউজের সব খরচ দেশের ব্যাংকগুলো পরিশোধ করবে।

ওয়েজ আনার্স বন্ডের সীমা এক কোটি টাকা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'প্রবাসীরা এখন স্বাচ্ছন্দ্যে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।'

বিদেশে কর্মী পাঠাতে ভোগান্তির কথা তুলে ধরে আসিফ নজরুল বলেন, 'সময়ক্ষেপণ কমাতে এখন থেকে শুধু বিএমইটি ও দূতাবাস থেকে অনুমোদন নিলেই হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিতে হবে না। যার ফলে সময় বাঁচবে ৩০ দিন।'

তিনি জানান, এখন থেকে সাব-এজেন্টদের রেজিস্ট্রেশন হবে। তাদের দৌরাত্ম্য কমলে অভিবাসন ব্যয় কমবে। রিক্রুটিং এজেন্সির পারফরম্যান্স মোতাবেক রেটিং করা হবে এবং এতে প্রতিযোগিতা বাড়বে।

আসিফ নজরুল বলেন, 'প্রধান উপদেষ্টার কারণে আরব আমিরাতে ৫৭ জন মুক্তি পেয়েছেন। মালয়েশিয়ার জট খুলতে তার ইমেজকে কাজে লাগানো হবে।'

তিনি মাস দুয়েকের মধ্যে শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বড় খবর দিবেন উল্লেখ করে বলেন, 'কর্মীদের নতুন কর্মসংস্থান হবে ইতালি অথবা চীনে।'

'যেসব প্রবাসীরা ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছেন, যারা ফিরে এসেছেন—তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। সম্ভব হলে অন্য কোনো দেশে পাঠাবো,' তিনি বলেন।

আসিফ নজরুল বলেন, 'যারা টাকা জমা দিয়েও মালয়েশিয়া যেতে পারেননি, রিক্রুটিং এজেন্টরা সাব-এজেন্টদের সেসব টাকা ফেরত দেবে। এখনো মাত্র ২৫ শতাংশ ক্ষেত্রে টাকা ফেরত পেয়েছেন কর্মীরা। সিন্ডিকেট বা যেকোনো দুর্নীতির ব্যাপারেই তদন্ত হবে।'

তিনি বলেন, 'রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ভিআইপি সেবা দেওয়া হবে বিমানবন্দরে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা কর্মীদের। পরবর্তীতে তাদের লাউঞ্জ ব্যবহারের ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে আউটসোর্স করে লোক নিয়োগ করা হবে।'

মধ্যপ্রাচ্যে নারী নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, 'সেখানকার লিগ্যাল সাপোর্ট সিস্টেম খুব দুর্বল। আমরা চেষ্টা করছি সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেম করার। এটা বড় চ্যালেঞ্জ। সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে প্রতিকারের ব্যবস্থা করবো।'

তিনি জানান, টিটিসিগুলোর ম্যাথিডোলজি নিয়ে সামনে তারা বসবেন এবং এক মাস পরেই টিটিসির উন্নয়ন হবে বলে আশা করেন।

তিনি আরও বলেন, '"আমি প্রবাসী" অ্যাপের দরকার নেই। আমাদের বিমানবন্দরে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কই যথেষ্ট।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago