উবার-পাঠাওয়ের কর ও আয়ের স্বচ্ছতার ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ

রাইডশেয়ারিং প্রতিষ্ঠান উবার ও পাঠাওয়ের সরকারকে দেওয়া কর, গাড়ি-মোটরসাইকেল চালকের থেকে আয়, জবাবদিহিতা এবং সার্বিক স্বচ্ছতার ব্যাখ্যা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ আজ রোববার প্রতিষ্ঠান দুটিকে পৃথক আইনি নোটিশ দিয়েছে।

ভারতে উবার ইন্ডিয়া সিস্টেম প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দারা খোসরোশাহী ও বাংলাদেশের এর কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল এবং পাঠাওয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম আহমেদকে এ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, উবার ও পাঠাও কোনো আইনগত কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই গাড়ির মালিক বা চালকদের কাছ থেকে ট্যাক্স, অগ্রিম ফি, বুকিং ফি হিসাবে ২৫-৩০ শতাংশ কমিশন নেয়।

উবার ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর এবং পাঠাও ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর বাংলাদেশে অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে রাইডশেয়ারিং ব্যবসা চালু করে। 

আইনি নোটিশে বলা হয়, বর্তমানে দেশের প্রায় দেড় লাখ যানবাহন উবার ও পাঠাও প্ল্যাটফর্মের অধীনে পরিচালিত হয়। কোম্পানিগুলো প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রতি ট্রিপে তারা সার্ভিস ফি আদায় করছে এবং কখনো কখনো যাত্রীদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে উচ্চ ভাড়া আদায় করছে এবং মূল ভাড়ার চেয়ে অনেক কম পরিশোধ করে গাড়ির মালিকদের ক্ষতি করছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে উবার ও পাঠাওয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছে নোটিশে। প্রতিষ্ঠান দুটি কোন আইনে সার্ভিস ফি'র নামে ২৫-৩০ শতাংশ কমিশন আদায় করে এবং ব্যবসার শুরু থেকে বাংলাদেশ থেকে কত অর্থ বিদেশে স্থানান্তর করা হয়েছে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অ্যাপ ব্যবহার করে উবার ও পাঠাও এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ৩০ থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে।'

'যদি তারা আইনি নোটিশের জবাব না দেয় তবে তাদের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালত এবং উচ্চ আদালতে মামলা করা হবে,' যোগ করেন তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago